সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ PUBG ও Free Fire গেম। সোমবার এহেন ‘ক্ষতিকারক’ গেম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এই রায় দেয় বিচারপতি রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: National Mourning Day in Bangladesh: ‘হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র ফাঁস হবেই’, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা]
জানা গিয়েছে, পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো অনলাইন গেম ও অ্যাপগুলি যুবসমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ জুন দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকি-সহ এ ধরনের অনলাইন গেম ও অ্যাপ বন্ধ করার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের’ পক্ষে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহম্মদ হুমায়ন কবির। সরকার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মহম্মদ রাসেল চৌধুরী। শুনানি শেষে দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ক্ষতিকারক গেমের লিংক-গেটওয়ে তিন মাসের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পাবজি, ফ্রি ফায়ার, লাইকি, বিগো লাইভ-সহ ‘ক্ষতিকারক’ সব গেম ও লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে আদালত। এছাড়া অনলাইন গেমস-অ্যাপ তদারকি এবং এ বিষয়ে গাইডলাইন তৈরি করতে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতেও পাবজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকলে দেশের বাজারে PUBG মোবাইল ও PUBG লাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৯ সালের শেষ দিকে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল PUBG লাইটের। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ইউজারদের কাছে যা দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড ছাড়াও PC-তে খেলা যায় এই গেম। এরপর PUBG কর্পোরেশন ও PUBG লাইট টেনসেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ভারত সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।