সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানবিকতার খাতিরে বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কিন্তু এবার আশ্রয়দাতাদেরই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে শরণার্থীদের এক বৃহৎ অংশ। আর এনিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তাঁর কথায়, শরণার্থী সমস্যা নিয়ে সমবেদনা জানালেও সমাধানের পথ কেউ বাতলে দেয় না।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ‘বোঝা বইতে হবে’ বাংলাদেশকেই, বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি ১২ মার্কিন সেনেটরের]
রবিবার তাঁর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, “রোহিঙ্গা বিষয়টি আমরা সব জায়গায় সুযোগ পেলে তুলে ধরি। সব দেশ আমাদের সঙ্গে একমত যে রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষ্যতের একমাত্র উপায়, তাদের স্বদেশে ফেরত যাওয়া। কিন্তু সবাই সমবেদনা প্রকাশ করে। সমাধান দিতে পারে না। কারণ, এ সমস্যা মায়ানমারের তৈরি। এর সমাধানও মায়ানমারের হাতে।” তিনি আরও বলেন, ” মায়ানমার সব শর্ত পূরণ করে আইওআর-এর সদস্যপদের আবেদন করেছিল। কিন্তু ওদের আবেদনের বিরোধিতা করে দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।”
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকায় সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে ‘ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআর) ২১তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হচ্ছে। দু’দিনের এই সম্মেলনে অংশ নেবে ভারত, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, মালশিয়া, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা-সহ বাকি সদস্য দেশগুলি। ২০১৯ সালে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন জনীয়েছল মায়ানমার। তবে রোহিঙ্গা নির্যাতনের জেরে নাইপিদাওয়ের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে যৌথভাবে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ৯ মার্কিন সিনেটের জেফ মার্কলে, বেন কার্ডিন, ডিক ডারবিন, ক্রিস কুন্স, রন ওয়াইডেন, ক্রিস ভ্যান হলেন, এড মার্কি, করি বুকার ও এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং রিপাবলিকান পার্টির তিন সিনেটর মার্কো রুবিও, সুজান কলিন্স ও রজার উইকার। ওই চিঠিতে রোহিঙ্গাদের রাখাইনের ফেরত পাঠানো পর্যন্ত তাদের সুরক্ষার ‘বিরাট বোঝা’ ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ বাংলাদেশকে বয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা।