সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করে বিজেপিকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অস্বস্তি কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার নতুন করে বিপত্তি বাঁধালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতের ইতিহাসে বাঙালি মনীষীদের অবদান তুলে ধরতে গিয়ে তিনি শচীন্দ্রনাথ সান্যাল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে গুলিয়ে ফেললেন। দু'জনের নামের জগাখিচুড়ি করে বলে ফেললেন 'রবীন্দ্রনাথ সান্যায়'। স্বাভাবিকভাবেই এতে ওই দুই মনীষীরই অপমান দেখছে তৃণমূল।
এই মুহূর্তে বঙ্গ সফরে শাহ। মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে অমিত শাহ সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু ও বাঘা যতীনের নামের সঙ্গে ‘রবীন্দ্রনাথ সান্যায়’ নামটি উচ্চারণ করেন। যা নিয়ে পরে সরব হয় তৃণমূল। খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, এভাবে আর কতদিন বাংলার মনীষীদের অপমান করবে বিজেপি? পরে তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলেও শাহী মন্তব্যের নিন্দা করা হয়।
তৃণমূলের তরফে বলা হয়, "মাননীয় অমিত শাহ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শচীন্দ্রনাথ সান্যাল দু'জনেই মহান ব্যক্তিত্ব। দুজন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। অবশ্য আপনি পার্থক্য বুঝবেনই বা কী করে? যতই হোক আপনি তো শূন্য সংস্কৃতিজ্ঞান সম্পন্ন বহিরাগত। দয়া করে পড়াশোনা করে আসবেন। এভাবে আমাদের মনীষীদের অপমান করবেন না। সবচেয়ে বড় ব্যাপার নিজের লজ্জা বাড়াবেন না।"
উল্লেখ্য, শচীন্দ্রনাথ সান্যাল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। ১৮৯৩ সালে বেনারসে জন্ম তাঁর। কলকাতায় থাকাকালীন তিনি অনুশীলন সমিতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। পরে ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদদের সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এ হেন সুপ্রতিষ্ঠিত বিপ্লবীর নাম বলতে গিয়ে ভুল করে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
