shono
Advertisement

ঐতিহাসিক আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ উদ্বোধন মোদি-হাসিনার

মোট তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
Posted: 01:28 PM Nov 01, 2023Updated: 01:28 PM Nov 01, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের অর্থায়ন ও সহযোগিতায় বাংলাদেশে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বহু প্রতীক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ; খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২ সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সেরের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

Advertisement

এদিন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন। আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারতীয় ৩৯২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইন-সহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অফ ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হল। ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০:৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ উন্মোচন করেন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। প্রকল্পগুলো এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা জোরদার করবে। বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ভারত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ঋণে এই রেললাইন নির্মিত হয়েছে। ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপুল পরিবর্তন হবে। ১২.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের ৬.৭৮ কিমি বাংলাদেশের মধ্যে দ্বৈত গেজ লাইন এবং অবশিষ্ট লাইন ত্রিপুরার মধ্যে ডবল লাইন।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা বানচাল, র‌্যাবের জালে আনসারের ৩ সদস্য]

খুলনা-মোংলা রেললাইনটি ভারত সরকারের প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণে নির্মাণ করা হয়েছে। খুলনা থেকে মোংলা ৬৫ কিমি ব্রডগেজ লাইন হয়েছে। এতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য মোংলার মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রপ্তানি হতে পারবে। মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর।

তৃতীয় প্রকল্পটি হল খুলনার রামপাল সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। এই কেন্দ্রে ৬৬০ ইউনিটের দুটি ইউনিট। মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। ভারত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সহজ শর্তে ১৬০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সংস্থা মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নামে নতুন সংস্থা গঠন করে। এতে অংশীদারি উভয় দেশের ৫০:৫০। ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিগম এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে সংস্থাটি গঠন করে। গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম ইউনিটটির উদ্বোধন করেছিলেন।

[আরও পড়ুন: হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা: দোষী ৭ নব্য JMB সদস্যের মৃত্যুদণ্ড রদ ঢাকা হাই কোর্টে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement