সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করে দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী ইউনুস সরকার। যার ফলে এর পর মুজিবকন্যা আদৌ বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, ভারতের বাইরে হাসিনা অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতে চাইলেও সমস্যায় পড়তে হবে তাঁকে।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারিয়ে দেশ ছেড়েছেন। আপাতত ভারতে থাকলেও এখনও পর্যন্ত 'কূটনৈতিক' আশ্রয় পাননি তিনি। এ নিয়ে সংসদে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। সরকার অবশ্য এখনও হাসিনার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে। মঙ্গলবার হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী আওয়ামি সাংসদ মিলিয়ে মোট ৯৭ জনের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। এদিন ইউনূসের ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার হাসিনা এবং বাকিদের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানান। তাঁর দাবি, জুলাই-অগাস্টে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থানের সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যাকাণ্ড এবং 'গুম' কাণ্ডে যুক্ত হাসিনা-সহ এই ৯৭ জন। সেকারণেই তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়-সহ হাসিনের পরিবারের সব সদস্যের সমস্তরকম লেনদেনের তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের সব ব্যাঙ্ককে অবিলম্বে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুজিবকন্যাকে ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। এর পর পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোরই কৌশল। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন মুজিবকন্যা। পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে ভারত থেকে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধার সম্মুখীন হবেন তিনি। এমনকী, পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার ফলে আপাতত তাঁর ভারতে থাকাও আইনত বৈধ নয়। তবে ভারত সরকার যদি পাশে থাকে, তাহলে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা না মুজিবকন্যার।
উল্লেখ্য, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানের আবহে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ইতিমধ্যেই দিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেখানকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে।