সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। হেঁশেলে অতি প্রয়োজনীয় এই বস্তুটির অভাব মেটাতে এবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। পড়শি দেশ থেকে আমদানি বাড়লে মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে ধারণা প্রশাসনের।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মণ্ডপ, মন্দির পুনর্গঠনে আর্থিক সাহায্য শেখ হাসিনার]
বাংলাদেশে এখন পেঁয়াজের ভরা মরশুম। অথচ দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা চলছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং দাম বাড়ায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত চার দিনে প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন হিলির ব্যবসায়ীরা। এতে আসন্ন রমজানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ সংবাদমাধ্যমে জানান, “দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং কৃষকদের চাষে উৎসাহিত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দেয় সরকার। এ সময় বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ ভাল থাকায় দাম কম ছিল। ফলে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাঘের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। ফলে দেশে এ নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগের পাওয়া অনুমতিপত্রের মাধ্যমে আবারও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। আমদানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে রমজানে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশের ব্যারে দাম বাড়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। সেই অভাব পূরণ করতে আর দাম মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে মায়ানমার, ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের মুখাপেক্ষী হয়েছিল ঢাকা। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পেঁয়াজের প্রয়োজনে অন্য এশীয় দেশগুলিও ইজিপ্ট, তুরস্ক, চিনের শরণাপন্ন হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে আসা সরবরাহ, কোনও ভাবেই ভারতের অভাব পূরণ করতে পারছে না।
