সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিকল্পিত হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগের মধ্যেই বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে উদ্ধার হিন্দু পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ। মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। পুলিশের দাবি, পরিবারের ৩ সদস্যকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন পরিবারের প্রধান জনি মণ্ডল। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কট্টর মুসলিমপন্থী সংগঠনগুলি নিশানা করা শুরু করেছে ইসকনকে। গায়ের জোরে বন্ধ করা হচ্ছে ইসকন সেন্টারগুলি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব টাউনের একটি পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের প্রধান জনি মণ্ডল, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, এবং তাঁদের দুই সন্তান, চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তাঁদের উপর কোনওরকম হামলা হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিশ পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও এই আত্মহত্যার তত্ত্ব কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনুস সরকার। তবে পরিস্থিতি শোধরাতে কোনও উদ্যোগ তো দূর, নয়া আইন এনে এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে পথে নেমেছে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। অভিযোগ, পালটা রাষ্ট্রীয় মদতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকী সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হিন্দু কলোনিগুলিতে হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। এরই মধ্যে কিশোরগঞ্জের ওই হিন্দু পরিবারের দেহ উদ্ধার ঘিরে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কট্টর ইসলামপন্থীরা নিশানা করছে বাংলাদেশের ইসকন সেন্টারগুলিকে। কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বাংলদেশের শিবচরে ইসকন সেন্টারে হামলা চালিয়েছে কট্টরপন্থীরা। ওই ইসকন সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদেরও সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ সেনা। শুধু শিবচর নয়, বাংলাদেশের একাধিক ইসকন সেন্টার আক্রান্ত বলে খবর।