সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ঝিমিয়ে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ খাত থেকেও রাজস্বের পরিমাণ কাঙ্ক্ষিত অঙ্ক ছুঁতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে শুল্ক বাড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনুসের অভ্যন্তরীণ সরকার। শতাধিক পণ্য ও পরিষেবায় বসানো হয়েছে ভ্যাট। এভাবেই বাজেটের ঘাটতি পোষাতে মরিয়া সেদেশের অর্থ মন্ত্রক।
শতাধিক পণ্যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাকি ছমাসে ১০-১২ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আছে ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, সিগারেট, চশমার ফ্রেম ইত্যাদি।
বলা হচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে সরকারের খরচ বেড়েছে হু হু করে। দাবি, হাসিনা সরকার অন্যান্য খরচ বাড়িয়েই রেখেছিল। অন্যদিকে আয় তেমন বাড়েনি। রাজস্ব আদায় হচ্ছেই না। ফলে বর্তমান অর্থবর্ষের প্রথম পাঁচ মাসেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঘাটতি এসে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪২ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকায়। এই অর্থবর্ষে বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা। এর মধ্যে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে শুল্ক-কর ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব ইত্যাদি খাতে। বাকি অর্থ আসবে দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়িয়ে দিয়েও ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হচ্ছে। আশা, এবার সাধারণ মধ্যবিত্ত সঞ্চয়পত্র কিনবেন বেশি করে। এদিকে বিশ্বব্যাঙ্ক-সহ সারা বিশ্বের ব্যাঙ্ক থেকে মোট ১৭০ কোটি ডলার সহায়তা দরকার। কিন্তু যা পাওয়া গিয়েছে তা মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। কাজেই অস্বস্তি বেড়েছে। আর তাই এবার মরিয়া হয়েই কর বাড়িয়ে দিল ইউনুস সরকার।