সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে স্পষ্ট জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর মতে, প্রথম ট্রাম্প সরকার যেভাবে ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, সেই ভিত থেকেই আবারও তৈরি হবে ইন্দো-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তাছাড়াও কোয়াডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের মতোই যথেষ্ট আগ্রহী ট্রাম্প সরকার, এমনটাই মনে করেন জয়শংকর। মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে এই বিষয়গুলি স্পষ্ট জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানে তাঁকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়। নয়া সরকারের প্রথম কূটনৈতিক বৈঠকের জন্যও ভারতের বিদেশমন্ত্রীকেই বেছে নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব মারো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানালেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে যথেষ্ট আগ্রহী আমেরিকার নতুন সরকার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনটি বিষয় তুলে ধরেন জয়শংকর। তাঁর কথায়, "যদি আমার ব্যক্তিগত মতামত বলতে যাই, তাহলে প্রথমত বলব ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের বিষয়ে খুবই উৎসাহী। প্রথম থেকেই ভারতকে পাশে চাই, সেটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সকলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। দ্বিতীয়ত, মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আমার স্পষ্ট ধারণা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিতের উপরেই ভারতের সঙ্গে আরও মজবুত বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। প্রথমবার ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখনই দুই দেশের সম্পর্কের ভিত শক্তিশালী হয়েছিল। তৃতীয়ত, আমাদের মতোই কোয়াডকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী এই নতুন সরকার।"
উল্লেখ্য, এমনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে এশিয়ায় মহাদেশে ভারতের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমেরিকা। তাই চিনের বাড়াবাড়িতে লাগাম টানতে ভারতকে আরও কাছে পেতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। কোয়াড শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়ে জয়শংকরের কাছেও পরিষ্কার এই বার্তা দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে। আগামী দিনে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক আরও গভীর হবে, বলাই বাহুল্য।