সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ জাতীয় দল বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দীর্ঘ শোকবার্তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের। খালেদাকে দেশের 'মহান অভিভাবক' বলে উল্লেখ করে তাঁর স্তুতিতে ডুবে গেলেন ইউনুস। একইসঙ্গে এই শোকবার্তার মাঝে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও দিলেন খোঁচা। খালেদার রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে ইউনুস সরাসরি আঙুল তুললেন হাসিনার দিক। তাঁর কথায়, ''হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারের মুখে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এদেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুপ্রেরণা। মিথ্যা, সাজানো মামলায় তাঁকে ১৭ বছর জেলবন্দি থাকতে হয়েছিল।'' ৮০ বছর বয়সি নেত্রীর প্রয়াণে তাঁর পরিবার ও দলের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ইউনুস। আজ দুপুরে এনিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
গত ২৩ নভেম্বর বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইসঙ্গে একাধিক অসুখে ভুগছিলেন তিনি। ফুসফুস, হৃদরোগের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কাবু করে ফেলেছিল আর্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস। হাসপাতালে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তখন থেকেই বিএনপি নেতৃত্বের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসও দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় প্রার্থনার আবেদন করেছিলেন। এমনকী নিজেও প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন। ৩০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রয়াণ সংবাদ শোনার পরপরই দীর্ঘ লিখিত বিবৃতি দেন ইউনুস। সেই শোকবার্তাতেও খালেদা-হাসিনার দ্বন্দ্বকে উসকে দিয়েছেন তিনি।
ইউনুসের বিবৃতি অনুযায়ী, স্বামী জিয়াউর রহমানকে হারানোর পর খালেদার রাজনৈতিক ময়দানে প্রবেশ। আর তাতেই কার্যত বাজিমাত। বারবার হাজার প্রতিকূলতার মুখে পড়েও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন জিয়াপত্নী। ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সামরিক শাসনের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদার ভূমিকা স্মরণীয়। খালেদা জমানায় নারীশিক্ষার বিস্তার থেকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন ইউনুস তাঁকে দেশের 'মহান অভিভাবক' বলে অভিহিত করে ইউনুস জানিয়েছেন, 'আমি গভীরভাবে শোকহত।' বুধবার বিএনপি নেত্রীর শেষকৃত্য হবে।
