সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের জেরে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলিমরা। আর তার চাপ সামলাতে হচ্ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে। সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাদের সে দেশে অনুপ্রবেশের ঢল অব্যাহত। বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গা সমস্যায় জর্জরিত একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা। হাসিনা জমানার সেই 'চাপ' কাটেনি ইউনুসের আমলেও। তবু এবছর ইদে সেই রোহিঙ্গাদেরই 'অতিথি' সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখলেন, ''আমাদের দেশে ১২ লাখের বেশি মেহমান বিপদগ্রস্ত। দোয়া করি, আগামী ইদ যেন তাঁরা নিজেদের দেশে করতে পারে।'' তাঁর এই পোস্টে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তৎপরতা বাড়ছে ইউনুস সরকারের?

পোস্টে ইউনুসের শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সমস্যা নতুন কিছু নয়। জীবন বাঁচানোর তাগিদ এবং মায়ানমারের জুন্টা সরকারের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা একে একে বাংলাদেশে ঢুকে রীতিমতো বসতি গড়ে তুলেছে। তাঁদের জন্য কক্সবাজারের কুতুপালং, ভাসানচরে তৈরি হয়েছে শিবির। সেসব শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা অবশ্য সমাজবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে শেষমেশ সরকারের বিপদই বাড়িয়ে তুলেছে। তাই রোহিঙ্গারা 'বিপজ্জনক' বলে দেশের অন্দরেই অনেকে বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু মানবাধিকার ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের পরামর্শমতো রোহিঙ্গা বিতাড়নে অপারগ বাংলাদেশ। সরকার বদলেও সেই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান হয়নি। বহুবার তাঁদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ইদের প্রাক্কালে রোহিঙ্গাদের 'অতিথি' সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানালেন মহম্মদ ইউনুস। সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, ''সকলকে ইদ মুবারক। এই ইদ আমাদের সকলের জন্য আনন্দের, কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে ১২ লক্ষ অতিথি আমাদের দেশে বিপদগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন। আমি শুভেচ্ছা জানাই, আগামী ইদ যেন তাঁরা নিজের দেশে কাটাতে পারে।'' এর আগে গত ১৪ মার্চ উখিয়ার একটি রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন ইউনুস। তারপর এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।