নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশি ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করল দুর্নীতি দমন কমিশন। তিনি ভবিষ্যতে দুর্নীতি মামলার আসামি হতে পারেন! একসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের বা দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান। তবে এখন তাঁর নাম সংস্থার আসামির তালিকায়ও উঠতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাকিবের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান মহম্মদ আবদুল মোমেন।
রবিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্থার চেয়ারম্যান মহম্মদ আবদুল মোমেন। এক সাংবাদিক জানতে চান, শাকিব কি এখনও দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর রয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের আশঙ্কা, এমনও হতে পারে যে তিনি দুদকের আসামিও হতে পারেন। তবে বিষয়টি এখনও অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে, অনুসন্ধানের পরে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।” দুদকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ২০১৮ সালে শাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি হয় সংস্থাটির। এছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করে দুদক। বিভিন্ন ‘অনিয়মে’র অভিযোগ ওঠায় ২০২২ সালে শাকিবকে আর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর না রাখার কথা জানিয়েছিল দুদক।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামি লিগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। এই সংসদে ক্রিকেটার শাকিব আওয়ামি লিগের টিকিটে মাগুরা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। শাকিবের বিরুদ্ধে নানা 'দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমি। আবেদনে শাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠান, সোনা চোরাচালান কাণ্ডে যোগ, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তির তথ্য গোপনের মতো অভিযোগ আনা হয়। গত বছরের ৮ নভেম্বর শাকিব আল হাসানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কথা জানায় আর্থিক খাতের গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এরপর শুরু হয় দুদকের অনুসন্ধান।