সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। মশাল-লাঠি হাতে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারে বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তারা। সরকার বদলালেও বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর চাপানো হয়েছে অত্যাধিক করের বোঝা। তাই প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ। সময় বেঁধে দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শেখ হাসিনার মতোই কি পরিণতি হবে ইউনুসের? ফের এক গণ অভ্যুত্থান দেখবে বাংলাদেশ?
হাসিনার আমল থেকেই মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার বাংলাদেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। এখন বাংলাদেশের যা টালমাটাল পরিস্থিতি তাতে রীতিমতো অরাজকতা দেখা যাচ্ছে বাজারে। আড়তদার থেকে ছোট ব্যবসায়ী, সকলেই নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই সবের মধ্যেই নতুন নিয়ম জারি করেছে ইউনুস সরকার। সেই অনুযায়ী, রেস্তরাঁয় বিলের উপর ১৫ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে। আগে এই কর ছিল ৫ শতাংশ।
জানা গিয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় আড়াই গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইউনুস সরকার। এই ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আমজনতা। সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাম কমানো নিয়ে কোনও ব্যবস্থা করা না হলে সরকার ফেলে দেওয়া বলেও হুঁশিয়ারি জনতার।
ফলে ঘরে-বাইরে আরও চাপে পড়েছেন ইউনুস। হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। ভোট নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিএনপির মতো একাধিক রাজনৈতিক দল। অস্বস্তি রয়েছে হাসিনাকে নিয়েও। এখন পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এবার কী করবে ইউনুস সরকার? উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গদি হারিয়ে এখন তিনি ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। সেনিয়ে দিল্লি-ঢাকা স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে।