সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতা বদলের পর প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমীকরণেও পরিবর্তন এসেছে। এতদিনকার 'বন্ধুত্বে' খানিকটা ছেদ পড়েছে। দু'দেশের যৌথ কর্মসূচিগুলিতেও ভাটার টান। এই পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আবার কিছুটা স্বাভাবিক করার সুযোগ ইউনুসের বাংলাদেশের কাছে। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার একাধিক নদীর জলবণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে যৌথ নদী কমিশন। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে গঙ্গা, পদ্মার জল যথাযথভাবে ব্যবহারের পদ্ধতি স্থির করতে এই বৈঠক। তাতে যোগ দিতে ইতিমধ্যে নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন ঢাকার ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে কি? সেদিকে নজর সবপক্ষের।
ঢাকা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের তরফে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবে। দু'দেশের অভিন্ন নদীর জলবণ্টন ও প্রবাহ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। হতে পারে পদ্মার জলবণ্টন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আজকের বৈঠকে ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরী-সহ ১৪টি নদীর জল কীভাবে দুই দেশ ব্যবহার করবে, তার রূপরেখা ঠিক হতে পারে। বাংলাদেশ চায়, প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এসব নদীর জল ব্যবহার করুক।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আমলে দু'দেশের সীমান্তবর্তী নদীর জলবণ্টন সংক্রান্ত বিষয় স্থির করতে যৌথ নদী কমিশন তৈরি হয়। বেশ কিছু চুক্তিও হয় নয়াদিল্লি-ঢাকার মধ্যে। দু'দেশের নদী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিশন জলবণ্টন ছাড়াও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যৌথ প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ, সেচ প্রকল্পের সমীক্ষা-সহ একাধিক বিষয় রয়েছে এর মধ্যে। স্থির হয়, বছরে তিনবার বৈঠক করবে যৌথ নদী কমিশন। হাসিনা জমানায় এই বৈঠক নিয়মিতই হয়ে এসেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর ফের বৈঠকে বসছে জয়েন্ট রিভার কমিশন। তবে বহু প্রতীক্ষীত তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনও কথা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আপাতত খবর। সীমান্তের মোট ১৪ টি নদীর জলবণ্টনের বিষয়টিই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়।
