সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুজোর মরশুমে এপাড়ে এসেছে ইলিশ। আর এবার ওপাড়ে গিয়েছে ডিম। ভারত থেকে ফের বাংলাদেশে রপ্তানি করা হলো ২ লক্ষ ৩১ হাজার পিস মুরগির ডিম। শনিবার রাতে ডিমবোঝাই ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরে পৌঁছলেও রবিবার তা প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি হয়েছে। সাড়ে ৭ টন ওজনের ডিম বোঝাই ট্রাকে এত সংখ্যক ডিম আমদানি করেছে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএফ কর্পোরেশন। ভারতের রপ্তানিকারক কানুফ ত্রিপুরা ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ডিমের চালানটি শনিবার রাতে বেনাপোল বন্দরে গিয়ে পৌঁছয়।
অবশ্য ডিম রপ্তানি নিয়ে সামান্য জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আমদানিকারকের তরফে কোনও কাগজপত্র শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে না থাকায় শনিবার চালানটি খালাস দেয়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাসের জন্য রাতুল এন্টারপ্রাইজ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান দুপুরের দিকে শুল্ক দপ্তরে নথি দাখিল করেছেন। তার পর চালানটি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আমদানি করা ডিমের মূল্য ৯৯৬৯.১২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩২৫ টাকা। আমদানি মূল্যের উপর ২৮ শতাংশ শুল্ক করাদি পরিশোধ করে বেনাপোল কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। প্রতি পিস ডিমের আমদানি মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৫ টাকা ৭৫ পয়সা। প্রতিটি ডিমের শুল্ক করাদি পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২ টাকা। সবমিলিয়ে একটি ডিম কত মূল্যে কিনতে পারবেন আমজনতা, তা এখনও ঠিক হয়নি। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, ''ডিমের পণ্য চালানটি যেহেতু জরুরি এবং পচনশীল সে কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পণ্য চালান পরীক্ষা করে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি মনিটরিং করছি।''