সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় দুবছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এই আমদানির ফলে বাংলাদেশে বাজারে দাম কমে আসবে দাবি আমদানিকারকদের। সোমবা দুপুরে ভারত থেকে চাল বোঝাই ট্রাক প্রবেশ শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের ঋত্বিক এন্টারপ্রাইজ এ চাল রপ্তানি করেছে। বছর দুই-আড়াই ধরে দেশের বাজার অগ্নিমূল্য। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দফায় ডিম, পিঁয়াজ, আলু, কাঁচালঙ্কা পাঠিয়েছে ভারত।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাইরাম ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করছে। দুটি ট্রাকে ৯০ টন চাল আমদানি হয়েছে। প্রতি টন চাল ৪১০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়েছে। সোমবার খুচরো বাজারে আটাশ জাতের চাল ৫৮টাকা, সম্পা কাটারী জাতের চাল ৬৮ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৪৮ টাকা এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এনিয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, এখনও পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ জন আমদানিকারক ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। প্রচুর পরিমাণ এলসি করা হয়েছে। এতে চালের বাজার দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমদানিকৃত প্রতি কেজি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকদের কথায়, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সোমবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় আমদানি বাড়বে এবং দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে আশা করা হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা খবর, এই বন্দরের ১০ থেকে ১৫ জন আমদানিকারক এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩২ হাজার টন চাল আমদানির আইপি অনুমতি পেয়েছে।