নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে গদিচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। আর আগামী ১৬ ডিসেম্বর হাসিনাহীন বাংলাদেশে প্রথম বিজয় দিবস। এই দিনে কী কী কর্মসূচি পালন করবে ইউনুস সরকার?
হাসিনা সরকারের পতনের পাঠ্যবই, হাসপাতাল, রাষ্ট্রপতি ভবন সব জায়গা থেকে সরেছে মুজিব ও হাসিনার ছবি। কয়েকদিন আগে নতুন করে নোট ছাপছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। আর তাতে নেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। বদলে থাকছে জুলাইয়ের সেই ছাত্র আন্দোলনের ছবি। এই আবহে আগামী ১৬ ডিসেম্বর কীভাবে বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে অন্তবর্তী সরকার।
বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান ইউনুস ঢাকার অদূরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
জানা গিয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকছে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এছাড়াও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, বাংলা অ্যাকাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি-সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনের আয়োজন করা হবে। এছাড়া ঢাকায় বঙ্গভবনে অপরাহ্নে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু এই অশান্ত পরিস্থিতিতে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবস পালিত হয় সেদিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।