সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনওভাবেই দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ নয়, হুঙ্কার দিয়ে বুধবার সকালে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করল বিএনপি। আগরতলায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে উসকানির প্রতিবাদে সোমবার আগরতলার উদ্দেশে লংমার্চের ডাক দিয়েছিল খালেদা জিয়ার দল। সেই মতোই পথে নামল বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
'প্রথম আলো'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার বাংলাদেশি সময় সকাল ৮টায় নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল, যদিও তা শুরু হয় সাড়ে ৯টা নাগাদ। সকাল ৭টার পর থেকেই বিএনপির তিন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। দলীয় পতাকার পাশাপাশি জাতীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় কার্যলয় থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরুর আগে গরম গরম বক্তৃতা দেন বিএনপি নেতারা। যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেন, রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন যোগানোর জন্য গোটা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত হচ্ছে ভরতের শাসকগোষ্ঠী। বিএনপি নেতা আরও বলেন, "আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়।"
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর আগরতলায় বিক্ষোভ হয়। সেই সময়েই বাংলাদেশি উপদূতাবাসে হামলার অভিযোগ ওঠে। এইসঙ্গে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেছিল বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। ফের আজ, বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে তারা। আদৌ কি সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলায় পৌঁছানো সম্ভব?
সোমবারই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুব দলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেছিলেন, “ভারতীয় আগ্রাসন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদে বুধবার ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। শান্তিপূর্ণ লংমার্চ আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যাবে।”