সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট দাবি করল দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রতি মুহূর্তে আসছে হুমকি। জোটের তরফে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার আর্জি জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় এক গণ সমাবেশ। সেখানেই জোটের নেতারা সরকারের কাছে আট দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান। যার মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুজোয় পাঁচ দিনের ছুটি। এছাড়া বাকি দাবিগুলি হল নির্যাতনের বিচারের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ, সংস্কৃতি ও পালি শিক্ষা বোর্ড গঠন।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেছিলেন অধ্যাপক ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। চট্টগ্রামের হাটহাজারির পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষকে বলতে শোনা যায়, ''আমাদের লেজুড়বৃত্তির মানসিকতাই আজ এই বিপর্যয় ডেকে এনেছে।'' পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, বলা হচ্ছে হিংসা নয়, যা হচ্ছে তা রাজনৈতিক নিপীড়ন। সেক্ষেত্রে কেন দুর্গাপুজোয় মাদ্রাসার পড়ুয়াদের নামিয়ে দেওয়ার কথা উঠছে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা কতটা বিপণ্ণ। সেই সঙ্গেই ড. মহম্মদ ইউনুসের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ''পৃথিবীকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন আপনি। পেয়েছেন শান্তির নোবেল। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যদি নিরাপদে না থাকেন তাহলে এই শান্তি স্থায়ীভাবে বিপণ্ণ হবে।''
মাস দুই আগে গণ অভ্যুত্থানের জেরে প্রধানমন্ত্রীর গদি হারান শেখ হাসিনা। পতন ঘটে আওয়ামি লিগ সরকারের। এখন ক্ষমতায় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সক্রিয় জামাতের মতো কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। এই রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই দুর্গাপুজো নিয়ে চিন্তার মেঘ জমছে সে দেশে। হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে নানা প্রান্তে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। অভিযোগ, নতুন সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে।