সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বহু পরিবর্তন এসেছে। অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় আসতেই মন্ত্রালয়গুলি থেকে হাসিনার আমলে নিযুক্ত আধিকারিকরা অপসারিত হয়েছেন। সচিবালয়ের বাইরে শিক্ষা ক্ষেত্রে থেকে ক্রিকেট বোর্ড, সব জায়গায় ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামি লিগের প্রতিপক্ষ জামাত ও বিএনপির লোকেরা। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি-সহ পাঁচ কূটনীতিককে সরিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার। অপসারণের নয়া তালিকায় রয়েছেন নয়াদিল্লির হাই কমিশনারও।
একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে তাঁকে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তার আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর ছাড়াও যে চার কূটনীতিককে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে, তাঁরা হলেন রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মহম্মদ আবদুল মুহিত, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিযুক্ত হাই কমিশনার আল্লামা সিদ্দিকি, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসানসালেহ এবং পর্তুগালের লিসবনে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। পদ্মাপারের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অপসারিত কূটনীতিকরা প্রত্যেকেই হাসিনা সরকার ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত।
প্রসঙ্গত, ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে কর্মরত শাবান মাহমুদ এবং কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে কর্মরত রঞ্জন সেনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার পর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানকে দেশে ফেরার নির্দেশও দেওয়া হল।