সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষা এবার দরাজ হস্ত! ছুটির দিনে বাইরে রিমিঝিমঝিম বৃষ্টি, ভিতরে (পড়ুন দুপুরের পাতে) ইলিশ... মৎস্যপ্রেমী বাঙালির 'অল টাইম ফেবারিট'। দাম বেশি হলেও সাধ্য ছাপিয়ে কিনছেন অনেকেই। বচ্ছরকার জিনিস বলে কথা। কিন্তু মাছ খেয়ে জুত নাই! হইহই করে বাজার হলেও রইরই করে খাওয়া হচ্ছে না। যেহেতু বাজারে পদ্মার ইলিশ বাড়ন্ত। মহম্মদ ইউনুস সরকার ইলিশ আমদানির অনুমতি দিলেও চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যে বিস্তর গড়বড়! ফলে পুজোর মুখে মন ভালো নেই এপারের বাঙালির। কিন্তু ঠিক কতখানি গোলমাল?
ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ইউনুস সরকার মৌখিক ভাবে ভারতে ৩,০০০ টন ইলিশ রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিলেও সেগুড়ে বালি! কারণ সম্প্রতি ঢাকার বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, চলতি বছরে ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কিনা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির আবহে গত বছরের থেকেও কম গেল পদ্মার ইলিশ রপ্তানির পরিমাণ। গত বছর প্রাথমিক ভাবে ৩,০০০ টনের অনুমোদন থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারতে পৌঁছেছিল ২,৪২০ টন 'রুপোলি শস্য'। অর্থাৎ, এবার গত বছরের তুলনায় অর্ধেক ইলিশ ঢুকবে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে। অবশ্যি ইলিশ কমার কারণ জানানো হয়েছে পূর্ববঙ্গ থুড়ি বাংলাদেশের তরফে। ঠিক কী বলা হচ্ছে?
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সরকারের মৎস্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বরিশাল বিভাগে ইলিশ শিকার জুনে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭,০০০ টন কমেছে, জুলাইয়েও ঘাটতি ৩০ শতাংশ। ইলিশ কম ওঠার কারণেই রপ্তানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ইলিশপ্রেমীরা দুই সমস্যায় পড়ছেন। প্রথমত, বাংলাদেশের ইলিশ বাজারে নেই বললেই চলে। তার উপর যে ইলিশ মিলছে, তার দামও আকাশছোঁয়া। গত বছর ১.১ থেকে ১.৩ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১,৬০০ থেকে ২,০০০ টাকা। এ বছর একই মাপের ইলিশ উঠতে পারে ন্যূনতম ২,৫০০ টাকায়।
