নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: রাতারাতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা, সমালোচনা হয়। ঘটনায় দায়সারাভাবে ভুল স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও থামেনি হিংসা! নতুন করে হাসিনার গ্রাফিতি আঁকা হতেই তাতে জুতো ও ঝাড়ু ছুড়লেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। যা নিয়ে নতুন করে ফের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামি লিগের শাসনকালে মেট্রোরেলের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন দুই পিলারে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি আঁকে ছাত্র লিগ। কিন্তু ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর জনতা তাঁর গ্রাফিতিতে জুতো নিক্ষেপ করে। রক্তের প্রতীকস্বরূপ লাল রং, ইট-পাটকেল ও ঝাড়ু মেরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে এক সময়ের গ্রাফিতি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীকের রূপ নেয়। তাই নামকরণ করা হয় ‘ঘৃণাস্তম্ভ’।
কিন্তু শনিবার গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয় সেই গ্রাফিতি। প্রকাশ্যে আসার পরই বিক্ষোভ, সমালোচনা শুরু হতেই দায়সারাভাবে ভুল স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অনুমতিতে গভীর রাতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টাকে প্রক্টরিয়াল টিমের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ হিসেবে উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে মাঝপথে মোছার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার মধ্যরাতে আবারও আঁকা শুরু হয় হাসিনার গ্রাফিতি। রাতভর চেষ্টা করে ঘৃণাস্তম্ভকে পুরনো অবয়বে আনার চেষ্টা করেন চারুশিল্পীরা।
অভিযোগ, নতুন করে গ্রাফিতি আঁকার পরই আসরে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সোমবার ফের জুতো ও ঝাড়ু ছুড়ে কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এর আগে, হাসিনার গ্রাফিতি সম্বলিত ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চায় তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি দুঃখও প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় এই ইস্যুতে।