সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর বাংলাদেশের 'গণ অভ্যুত্থান'-এ একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। কিন্তু পরিবর্তনের বাংলাদেশে এবার উলটো হাওয়া বইছে। তিন দশকেরও বেশি সময় পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এই বৈসাদৃশ্য?
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহনা বাশার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'র সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছেন, ''জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর নারী শিক্ষার্থীদের যে পরিমাণ সাইবার বুলিং (অনলাইনে হেনস্তা) করা হয়েছে, স্লাট–শেমিং (চরিত্রহনন) করা হয়েছে, সেটা দুঃখজনক। সে জায়গা থেকে একজন নারী আসলে নির্বাচনে লড়ার সাহস করতে পারেন না। কী পরিমাণ সাফার (ভুগতে) করতে হবে, কী পরিমাণে থ্রেট (হুমকি) পেতে হবে, সে জায়গা থেকে তাঁরা আসলে ভীত।''
দীর্ঘ ৩৩ বছর পরে নির্বাচন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ সেখানেই নারী প্রার্থীর সংখ্যার এই দৈন্য বিস্ময়কর। কেননা অতীতে ১৯৯৮ সালে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে গত বছর হাসিনাকে উৎখাত করার আন্দোন- সর্বত্রই দেখা গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সংখ্যাধিক্য।
কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ১৩টি পদের জন্য নির্বাচনে লড়ছেন ৯৫ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ১১ জন। অর্থাৎ শতকরা বিচারে মাত্র ১২ শতাংশ। যেখানে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ছাত্রদের সমান (৪৯ শতাংশ), সেখানে এত কম সংখ্যক ছাত্রী প্রার্থী হচ্ছেন তা বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের করুণ পরিস্থিতিকেই তুলে ধরে। উল্লেখ্য, সহসভাপতি বা ভিপি পদে ১০জন প্রার্থীর মধ্যে কোনও মহিলা নেই। সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদের ৯ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন মহিলা।
