সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধের ক্ষেত্রে শিথিলতার পথে ইউনুসের বাংলাদেশ! সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ কমাতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। এখনকার সংবিধান অনুযায়ী, যাবজ্জীবন কারাবাসের মেয়াদ ৩০ বছর। তা কমিয়ে ২০ বছর করার ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির একটি সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানান, ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ বর্তমানে ৩০ বছর। বয়স বিবেচনায় নারীদের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ হতে পারে ২০ বছর। পুরুষদের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ আরেকটু বেশি করার ভাবনা। তবে তা কত বছর, এখনও তা স্থির করা হয়নি। জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, কারাবন্দি থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে যারা বয়স্ক ও যে নারীরা কারাবন্দি রয়েছেন, তাদের সাজার মেয়াদ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সূত্রের খবর, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সংক্রান্ত সংশোধনী নির্ভর করবে সাজার সময় আসামির বয়সের উপর। ফলে এনিয়ে বিধান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সংশোধন হলে তাতে কিছু শর্ত অবশ্যই যুক্ত থাকবে। যদিও ইউনুস সরকারের এই ভাবনায় অপরাধের পরিসর বাড়বে বলেই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের। এতে অপরাধীরা আরও ভয়ডরহীন হয়ে পড়বে। রবিবার এই বিষয়টি ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। রাস্তা অবরোধ বিরোধিতা এবং দুর্গাপুজোর সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নানা আলোচনা হয়েছে বলে খবর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, ''রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন আর কোনো অবস্থায় বরদাস্ত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে অবরোধ তুলে না নেয়, সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে।''
