সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাদক কাণ্ডে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশের (Bangladesh) মডেল-অভিনেত্রী পরীমণিকে (Pori Moni) নিয়ে আলোচনা, সমালোচনায় ইতি পড়েনি। তার মাঝেই কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা একটি চিঠি ফেসবুকে পোস্ট (Facebook post) করে সেই আলোচনা আরও উসকে দিলেন অভিনেত্রী। তাতে লেখা – ‘চিন্তা কোরো না, শীঘ্রই দেখা হবে।’ চিঠিতে আরও লেখা, তিনি ভাল আছেন। অর্থাৎ যিনি চিঠি পাঠিয়েছেন, তিনি নিজের কুশল সংবাদ জানিয়েছেন।
কার থেকে এমন আন্তরিক চিঠি পেলেন পরীমণি? ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা চিঠি ভাল করে দেখলেই বোঝা যায় প্রেরক কে। চিঠির শুরুতে তিনি ‘নানু’ বলে সম্বোধন করেছেন। তারপর তাতে লেখা, ‘আমি ভাল আছি। কোনও চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দিব।’ চিঠির নিচে সই করা শামসুল হক গাজির।সম্পর্কে তিনি পরীমণির দাদু। বাংলাদেশের পিরোজপুরে এই দাদুর কাছে ছোট থেকে বড় হয়েছেন পরীমণি। কারণ, একেবারে ছোটবেলাতেই তিনি মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন। ফলে দাদু তাঁর কাছে অন্য আবেগ, আদরের মানুষ। আর তিনিও দাদুর খুব প্রিয়। দাদু তাঁকে আদর করে ‘নানু’ বলে ডাকেন। চিঠিতেও তাই সেই সম্বোধন। সাদা পাতায় নীল কালিতে লেখা এই চিঠিটি পোস্ট করে পরীমণি তাই লিখেছেন, ‘একটা চিঠি/ আমার সব শক্তির গল্প/ এখানেই…………’।
[আরও পড়ুন: ভাল আছেন সায়রা বানু, ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে]
প্রকৃত অর্থেই তাই। পরীমণির (Pori Moni) জীবন সম্পর্কে সামান্য জানাশোনা থাকলে দাদুর সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক জানা কঠিন কোনও ব্যাপার নয়। মাদককাণ্ডে (Drug case) গ্রেপ্তারির পর যখন পরীমণিকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল, সেসময় শতবর্ষে পা রাখা দাদু তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পিরোজপুর থেকে ঢাকা (Dhaka) ছুটে গিয়েছিলেন। যদিও আইনি বাধায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। আদালতে জামিন পেয়ে পরীমণি এখন নিজের বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু দাদুর সঙ্গে এখনও সাক্ষাৎ করতে পারেননি। তাই দাদুর চিঠি পেয়ে আবেগে ভাসলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সব শক্তি’র কথা প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি।