গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: পাক সীমান্তে ড্রোন আতঙ্কের মাঝেই ভারতের আকাশে চক্কর কাটল বাংলাদেশের (Bangladesh) হেলিকপ্টার। বসিরহাটের কাছে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভারতের আকাশসীমায় কেন ঢুকল বাংলাদেশি কপ্টার, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ৯ সেপ্টেম্বরের। ঘড়িতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা। আচমকাই বসিরহাটের বাদুড়িয়া এলাকার আকাশে হেলিকপ্টারের সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। স্থানীয় প্রশাসন লক্ষ্য করে ভারতের আকাশসীমায় চক্কর কাটছে বাংলাদেশের কপ্টার। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কথা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফকে জানান। বিষয়টি বিএসএফের নজরেও এসেছিল। তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানান। সূত্রের খবর, এ নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খড়দহ-টিটাগড়-দমদমের পর আগরপাড়া, ফের জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের]
বাংলাদেশের হেলিকপ্টার ভারতের সীমায় কেন ঢুকল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল কিনা, তাও স্পষ্ট নয়। কিন্ত বাংলাদেশি কপ্টারের সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে রহস্য বেড়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য থেকে একাধিক বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। এমনকী, দিল্লি থেকে ধৃত জঙ্গিদের থেকে খবর মিলেছে ১৫-১৬ জন বাংলা ভাষাভাষী জেহাদিও প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সিনেমা ও সিরিয়ালে সুযোগ দেওয়ার নামে অভিনেত্রীকে ‘কুপ্রস্তাব’, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
আবার চলতি মাসের ২ তারিখ দমদম বিমানবন্দর এলাকা থেকে সিমবক্স ও অন্যান্য উচ্চপ্রযুক্তির একাধিক সামগ্রী-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ২৩ টি সিমবক্স, ২৫৬টি সিমের স্লট, ওয়াইফাই মডেম বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যক্তিই গোটা চক্রের মাথা বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে বেড়েছে উদ্বেগ। এর মধ্যেই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকল বাংলাদেশি কপ্টার।
প্রসঙ্গত, পাক সীমান্তে একাধিক হানা দিয়েছে ড্রোন। কখনও ড্রোনের মাধ্যমে চলেছে নজরদারি তো কখনও অস্ত্রের জোগান দেওয়া হয়েছে তার মাধ্যমে। পাঞ্জাব, কাশ্মীর সীমান্তে ড্রোনের মাধ্যমে মাদক পাচার করতেও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি সেনাঘাঁটিতে তো বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে ড্রোন। এমন আবহে বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে এবার চিন্তা বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।