সুকুমার সরকার, ঢাকা: হত্যা, ডাকাতি, মাদক কারবার-সহ ২৩টি মামলা ঝুলছিল মাথার উপর। তারপরও দিব্যি দিনের পর দিন অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল শাহিন মিয়া ওরফে সিটি শাহিন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নেমে প্রাণ খোয়াল সে দেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা অদূরে রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালায় র্যাব-১। দু’পক্ষের গুলিযুদ্ধে নিহত হয় শাহিন।
মহম্মদ রাসেদুল ইসলাম শাহিন ওরফে সিটি শাহিন চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। গা বাঁচাতে শাসকদল চনপাড়া শেখ রাসেল নগর ইউনিয়ন আওয়ামি লিগের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যানারও সাঁটিয়েছিলেন শাহিন। র্যাব (RAB) সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার র্যাব-১’এর একটি দল সন্ত্রাসী-অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে চনপাড়ায় গেলে এই গুলিযুদ্ধের সামনে পড়ে শাহিন।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত-সুকন্যার পঞ্চম লটারির হদিশ পেল সিবিআই! অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৫০ লক্ষ টাকা]
র্যাবের কাছে তথ্য ছিল, শাহিন সেখানে একাই অবস্থান করছে। র্যাব পালটা গুলি ছুঁড়লে শাহিনের পায়ে কয়েকটি গুলি লাগে। জখম অবস্থায় তাকে আটক করে ঢাকার মুগদা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিন মারা যান। তবে তার ছোঁড়া পালটা গুলিতে র্যাবের অন্তত ৫ সদস্য জখম হয়েছেন। এর আগেও শাহিনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে র্যাব-১’এর একটি দল ব্যর্থ হয়। এতদিন গোয়েন্দাদের চোখে ধূলো দিতে আস্তানা গেড়ে থাকতো বসতিগুলিতে। এবার সেই বসতিতেই এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাবের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে প্রাণ গেল।
[আরও পড়ুন: মাটির মানুষ! ২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পুরীর মন্দিরে গেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু]
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, শাহিন চনপাড়া এলাকার সাত নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় দুটি ও ছ’নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একটি মাদক বেচাকেনার কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করত। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চনপাড়ার আরেক মাদক ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে শাহিনের বিরোধ ছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বছরের জুলাইয়ে চনপাড়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় চনপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মহম্মদ সামসুকে হত্যা করা হয়।