রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের (Contai Hospital) আউটডোর থেকে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ওষুধ। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসক মহলেও।
মঙ্গলবার, ঘটনাস্থল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর। একাধিক রোগীকে দেওয়া হয় ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল। কিন্তু ওষুধের (Medicine) পাউচের গায়ে বাংলা হরফে লেখা রয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ, ক্রয় বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’। ওষুধের মোড়কে কবে তৈরি বা কবে মেয়াদ শেষ-কোনও কিছুরই উল্লেখ নেই। তবে রয়েছে লাইসেন্স নম্বর। বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে কাঁথিতে। এই ওষুধ খাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত রোগী এবং রোগীর পরিবার।
[আরও পড়ুন: এপ্রিলেই হাজার কোটি টাকা ছাড়াচ্ছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণের অঙ্ক, উপকৃত বহু পড়ুয়া]
কীভাবে এমনটা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্যভবন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্তাকে।
প্রশাসনের দাবি, এই ওষুধ পাঠানো হয়েছে কলকাতা থেকে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশংকর সারেঙ্গী বলেন, “বিষয়টি নজরে আসার পর প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, কলকাতার সরকারি স্টোর থেকেই এই ওষুধগুলি এসেছে। তবে আসলে কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”