সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাহিত্য জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক (Hasan Azizul Huq)। সোমবার রাত সওয়া ন’টা নাগাদ বাংলাদেশের রাজশাহীতে নিজের বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে প্রখ্যাত সাহিত্যিকের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। সাহিত্যিকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাসান আজিজুল হক। দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে চলে যায় তাঁর পরিবার। সেই থেকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বিশিষ্ট লেখক। জীবনের বেশিরভাগ সময় রাজশাহীতে কেটেছে তাঁর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। অধ্যাপক হিসেবে বেশ সুনাম ছিল হাসান আজিজুল হকের। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর গোলাম রাব্বির সাত্তার।
[আরও পড়ুন: সৌমিত্রর অনুবাদ করা নাটকে অনন্য অভিনয় মেয়ে পৌলমীর, যোগ্য সঙ্গত দেবশংকরের]
বাংলাদেশে বিবিধ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন হাসান আজিজুল হক। পাঠক মহলে আজও জনপ্রিয় তাঁর ‘আগুনপাখি’ উপন্যাস। সেই উপন্যাসের জন্যই আনন্দ পুরস্কার পান প্রখ্যাত সাহিত্যিক। চলতি বছরের আগস্ট মাসেও একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর ছেলে তথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। হার্টের সমস্যার পাশাপাশি তাঁর মধুমেহ রোগও ছিল। পরে হাইপোনাট্রেমিয়ায় অর্থাৎ শরীরে লবনের ঘাটতির সমস্যাও দেখা দেয়। সাহিত্যিকের চিন্তা-ভাবনার শক্তিও কমে গিয়েছিল। খুব বেশি কথা বলতে পারতেন না। কাউকে সেভাবে চিনতেও নাকি পারতেন না।
সেই সময় বেশ কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হয়েছিল প্রখ্যাত সাহিত্যিককে। পরে রাজশাহীর বাসভবনেই তাঁর চিকিৎসা চলে। সোমবার রাতে সেখানেই প্রয়াত হন ‘আগুনপাখি’র স্রষ্টা। হাসান আজিজুল হকের প্রয়াণে দুই বাংলার সাহিত্য জগতের অপূরণীয় ক্ষতি বলেই মনে করছেন সেদেশের সাংস্কৃতিক মহল।