সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের মার্চ থেকে পালটে গিয়েছে জীবন। অনেকেই নতুন বছরের প্রত্যাশায় ছিলেন। কিন্তু একুশে আরও ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে অতিমারী (Corona Pandemic)। তবে মানুষের একটি অদ্ভূত স্বভাব রয়েছে। কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনকে খুঁজে নেওয়া। খুঁজে নেওয়া সেই একটুখানি অবসর যেখানে সমস্ত চিন্তা, দুঃশ্চিন্তা, ভয়, অনিশ্চয়তা থেকে একটু দূরে থাকা যায়।
সপ্তাহের শেষে এমনই অবসরের খোঁজে যদি থাকেন তাহলে বাঁকুড়ার প্রকৃতির আশ্রয়ে একবার যেতে পারেন। ঘুরতে যাঁরা পছন্দ করেন তাঁরা হয়তো বাঁকুড়ার ঝিলমিলের (Jhilimili Bankura) নাম শুনেছেন। কলকাতা থেকে ঝিলমিলের দূরত্ব ২৩৭.৯ কিলোমিটার। গাড়িতে গেলে মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাগে। অনেকই ভোর ভোর রওনা দিয়ে পিকনিক সেরে আবার রাতে ফিরে আসেন। তবে উইকএন্ড কাটিয়েই আসতে পারেন নিরিবিলিতে। যেখানে শুধু সবুজ জঙ্গল আর পাখিদের কলকাকলি।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিলে তৈরি হচ্ছে ১৪১ ফুটের যীশুর মূর্তি, পর্যটকদের নয়া আকর্ষণ ‘ক্রাইস্ট দ্য প্রোটেক্টর’]
আশে পাশে উপজাতি গ্রাম আছে বটে তবে শাল-পিয়ালের মাঝে রিমিল লজ (Rimil Lodge) একেবারে আলাদা। ট্রি-হাউস দেখলেই মন জুড়িয়ে যাবে। আগে থেকে বুক করে যাবে কিন্তু। ভারচুয়াল বিপ্লবের যুগে নম্বর পেতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।
কাছেই রয়েছে তালবেরিয়া বাঁধ। গাছের ছায়ায় বসে সারাদিন সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। একেবারে “গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ…” যাতে মন ভুলে থাকে সমস্ত যন্ত্রণা। রয়েছে বারো মাইল জঙ্গল। যার ল্যান্ডস্কেপ আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানকার রাজা কিন্তু শাল, মহুয়া, শিমুল গাছগুলি।
জঙ্গলজুড়ে হাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট রাস্তাও রয়েছে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় এই অঞ্চলে টুসু পরব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে টুসুর পূজা করা হয়। মকর সংক্রান্তির দিন সাঁওতালদের মেলা হয়। ঝিলিমিলি থেকে সাত কিলোমিটার দূরেই রয়েছে সুতান লেক। যতক্ষণ ইচ্ছে ততক্ষণ বসে পাখিদের কলতান শুনুন। কেউ বারণ করবে না।