সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নিজের তৈরি ‘মায়াদানব’ই গিলতে বসেছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। ইতিমধ্যেই স্বতন্ত্র সত্ত্বা প্রকাশ করতে শুরু করেছে আফগান তালিবান। ফলে সাহস আরও বেড়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠীর। এবার কট্টরপন্থী সংগঠনটি স্পষ্ট জানিয়েছে এখনই অস্ত্র সম্বরণ করবে না তারা।
[আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের লজ্জা! জেহাদি সংগঠনকে ভোটে লড়ার অনুমতি দিল পাকিস্তান]
সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছে তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)। জঙ্গি সংগঠনটির প্রধান মুফতি নুর ওয়ালি নিজে বিষয়টি দেখছে। সরকারের তরফ থেকে তাদের অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় ফিরে আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু আপাতত সেসব শর্ত মানতে নারাজ সংগঠনটি। ইসলামাবাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে টিটিপি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, কোনও ধরনের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার আগে পাকিস্তানের জেল থেকে তাদের বন্দি সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। আর এখনই আত্মসমর্পণ করার সময় হয়নি।
গত মাসে টিটিপি-র সঙ্গে আলোচনার কথা স্বীকার করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্লেষকদের মতে, পাক সেনার হাত রয়েছে টিটিপি-র মাথায়। এই কারণেই নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চললেও সেনার সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত কোনও নির্ণায়ক ফল পাওয়া যাবে না। আর এই সমস্ত বিষয়গুলিই ভাবিয়ে তুলছে ইমরানকে।
উল্লেখ্য, বিগত দশক থেকেই পাকিস্তানে সন্ত্রাস তৈরি করেছে টিটিপি। গণতান্ত্রিক সরকারকে উপড়ে ফেলে শরিয়ত লাগু করাই তাদের উদ্দেশ্য। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানকে রক্তাক্ত করেছে সংগঠনটি। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৫০ পড়ুয়াকে হত্যা করে জঙ্গি সংগঠনটি। তারপর থেকে পাক সরকার ও টিটিপি’র সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ আশা করেছিল যে এবার আফগান তালিবানের মদতে তেহরিকের উপর রাশ টানতে সক্ষম হবে তারা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেয় হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার সংগঠনটি। আফগান তালিবান সাফ জানিয়ে দিয়েছে টিটিপি তাদের সমস্যা নয়।