অর্ণব দাস, বারাকপুর: বরানগরে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ। মৃতার মেয়ের অভিযোগ, তাঁর কাকা ঘটনার নেপথ্যে। পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে গোটা বিষয়াটা।
মৃতা অর্থাৎ সুমিত্রা মাইতির মেয়ে মিঠু বিশ্বাস বুধবার দাবি করেন, বিস্ফোরণ, বাড়ি ভাঙা ও তাঁর মায়ের মৃত্যুর পিছনে রয়েছেন তাঁর কাকা। এদিন মিঠু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমার মায়ের উপর অত্যাচার করা হচ্ছিল। কাকা ও তাঁর স্ত্রী মারধরও করেছে। বারবার করে মাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত।” মৃতার মেয়ে জানান, তাঁর মা নাকি বলেছিলেন, ওই বাড়িতে তাঁর অধিকার নেই তা প্রমাণ করলেই তিনি বাড়ি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু সেই অশান্তির পরিণতি যে এমন হতে পারে, তা কেউ ভাবতেই পারেননি। কাকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন মিঠু বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি! চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি ভেঙে প্রৌঢ়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেই দাবি পুলিশের। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। বরানগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর টি এন চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দা সুমিত্রা মাইতি। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে একাই থাকতেন প্রৌঢ়া। প্রতিবেশী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা। ছুটে বাইরে বেরিয়ে দেখেন সুমিত্রাদেবীর বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তড়িঘড়ি পুলিশ এবং দমকলে খবর দেওয়া হয়। এলাকাবাসীরা জানতেন ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন সুমিত্রাদেবী। ফলে প্রৌঢ়া ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে বলে সন্দেহ করেন সকলে। ফলে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সুমিত্রাদেবীকে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায় পুলিশ দমকল। সাড়ে তিনঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় মহিলার দেহ।