অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসতের কাজিপাড়ায় কিশোর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা জেলা। ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা গুজব। আতঙ্কিত অভিভাবকরা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভাইপোকে খুনের পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ছেলেধরা গুজব ছড়ায় ধৃত কাকুই। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন বারাসতের জেলা পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখড়িয়া। তিনি জানান, "একাধিক এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মৃতের কাকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ধৃতের বয়ানেও অসঙ্গতি মেলে। তার পর ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাদ করায় সে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ধৃতের সঙ্গে মৃত ফারদিন নবীর বাবার বিবাদ ছিল। খুনের আগের দিনও দুই পরিবারের অশান্তি হয়েছিল। তখন মৃত কিশোর কাকুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ। আর সেই কারণেই ইনজার নবী তাকে খুন করেছে বলে দাবি করেছে জেরায়। কিশোরের দেহ উদ্ধারের পর জেলাসদরে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পরে। সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয় ছেলেধরার পোস্ট, শেয়ার। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। বারাসত সংলগ্ন অশোকনগর, বারাকপুর এবং বাগদাতেও এর আঁচ গিয়ে পড়ে। শিশু অপহরণকারী সন্দেহে এইসব এলাকায় শুরু হয় গণপিটুনি। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। জানা যাচ্ছে, কিন্তু এই ছেলেধরার গুজব মূলত ভাইপোকে খুনের পর পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই রটিয়েছিল ধৃত।
[আরও পড়ুন: সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি! উত্তরপ্রদেশের ডিএসপিকে বসানো হল কনস্টেবল পদে]
এবিষয়ে পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখাড়িয়া জানান, চাকদহের এক মহিলাকে ঘিরে প্রথম ছেলেধরার গুজব ছড়ায়। একইসঙ্গে মৃতের শরীরে কিডনি-সহ অন্যান্য অংশ নেই বলেও প্রচার হয়েছিল। তার পরই এই গুজব সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। গোটাটাই ধৃত করেছিল পুলিশকে বিভ্রান্ত করে ভাইপোকে খুন আড়াল করতে। এমনকি সে নির্দিষ্ট স্থান থেকে মাইকিং করেও গুজব ছড়িয়েছিল বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।