shono
Advertisement

অশ্লীল চ্যাট! সব পড়ুয়াকে সোশাল মিডিয়া ছাড়ার ফরমান বারাসতের স্কুলে

কী বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ?
Posted: 08:32 PM Mar 19, 2024Updated: 08:32 PM Mar 19, 2024

অর্ণব দাস, বারাসত: সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর চ্যাটিং স্কুল ছাত্রীর! নজরে পড়তেই ছাত্রীদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নিদান দিলেন বারাসত কালীকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের (Barasat Kalikrishna Girls’ High School) প্রধান শিক্ষিকা। নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি। যদিও শিক্ষিকার নির্দেশেই কাজ হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত পুরসভা লাগোয়া স্কুল কালীকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিনের পুরনো এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঐতিহ্য বজায় রেখে আজও প্রতিবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য লাভ করে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিক্ষিকাদের নজর এড়িয়ে স্কুলে মোবাইল আনা এক ছাত্রীর আপত্তিকর কিছু চ্যাটিং নজরে আসে প্রধান শিক্ষিকা-সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের। যা শিক্ষকদের উদ্বেগ বাড়ায়। এর পরই স্কুলের সভাপতি-সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যানেজিং কমিটির গ্রুপে প্রধান শিক্ষিকা জানান, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে যদি কোনও ছাত্রী থাকে তাঁদেরকে স্কুলে রাখা হবে না। কোন সোশাল মিডিয়ায় থাকতে পারবে না পড়ুয়ারা। যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তাদের সেটি ডিলিট করে স্ক্রিনশট পাঠাতেও বলা হয়। না হলে পরবর্তীতে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট পেতেও সমস্যা হতে পারে বলেও জানানো হয় নির্দেশিকায়।

[আরও পড়ুন: মানুষের জীবন আগে, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা আটকাব না! সাফ জানালেন বিচারপতি সিনহা]

এখানেই শেষ নয়, পড়ুয়াদের ফোন না দেওয়ার জন্য অভিভাবকের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। স্কুল সূত্রে খবর, এই নির্দেশিকায় কাজও হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পঞ্চাশের অধিক ছাত্রী তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। তার স্ক্রিনশটও পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত বলেন, “স্কুলের ছাত্রীরা আমার মেয়ের মত। মেয়েদের কথা ভেবেই নির্দেশিকার কারণ বলছি না। তবে, স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রীর ভবিষ্যৎ এবং পড়াশুনোর মানের উন্নতির জন্যই স্কুলের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” স্কুল পরিচালনা সমিতির সভাপতি সোমা চক্রবর্তী বলেন, “মোবাইলে আসক্তির কারণে পড়াশুনো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মেয়েরা। সম্প্রতি একটা ঘটনার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement