সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিবিসির (BBC) বিরুদ্ধে। অবশেষে সেই অভিযোগ মেনে নিল ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। আয়কর দপ্তরের (Income Tax Department) কাছে একটি ইমেল পাঠিয়ে বলা হয়েছে, অন্তত ৪০ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল করেছে সংস্থাটি। তার শাস্তি হিসাবে নতুন করে আয়কর ফাইল করতে হবে বিবিসিকে। কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে আলাদা করে জরিমানাও দিতে হবে তাদের। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের দপ্তরে তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। টানা ৬০ ঘণ্টা তল্লাশির পরে দপ্তরের কর্তারা জানান, কর ফাঁকির নানা প্রমাণ মিলেছে। হিসাব বহির্ভূত আয়ের পাশাপাশি করা না দেওয়ার একাধিক নথিপত্র পেয়েছিলেন আধিকারিকরা। তবে নানা মহলের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংক্রান্ত বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রকাশের জেরে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিবিসির দপ্তরে আয়কর বিভাগের হানা।
[আরও পড়ুন: অন্য পুরুষের প্রেমে মত্ত নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী, ডিভোর্সের আগেই ‘কুকীর্তি’ ফাঁস আলিয়া সিদ্দিকির!]
তবে কয়েক মাসের মধ্যেই যাবতীয় অভিযোগ মেনে নিয়েছে বিবিসি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আয়কর বিভাগের কাছে একটি ইমেল পাঠিয়েছে বিবিসি। সেখানেই সংস্থাটি মেনে নিয়েছে, আয়ের সমস্ত হিসাব স্বচ্ছভাবে দেখানো হয়নি। সেটা কর ফাঁকি দেওয়ারই সমান। তার ‘শাস্তি’ হিসাবে বকেয়া কর দিতে হবে সংস্থাকে। সেই সঙ্গে গুণতে হবে বাড়তি জরিমানাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্তা জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে বিবিসিকে অন্তত কোটি টাকার জরিমানা দিতে হবে।
যদিও আয়কর বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে, এমন ইমেলের কোনও আইনি বৈধতা নেই। বিবিসিকে ফের নতুন করে আয়করের রিটার্ন ফাইল করতে হবে। সেখানেই কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হবে। আয়কর বিভাগের এক আধিকারিকের মতে, “আইন সকলের জন্যই সমান। যতদিন না পর্যন্ত আইনিভাবে অভিযোগ মেনে নেবে সংস্থাটি,ততদিন পর্যন্ত নিজেদের তদন্ত চালিয়ে যাবে আয়কর বিভাগ।
[আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘ভয় পেয়েছেন, উঠল বাই তো কটক যাই’, মুখ্যমন্ত্রীর ওড়িশা সফরকে খোঁচা দিলীপের]