স্টাফ রিপোর্টার: আগামী দিনে যৌন হেনস্থা নিয়ে প্রবল কড়া হচ্ছে ভারতীয় বোর্ড (BCCI)। শুধু যে কঠোর নীতি আমদানি হচ্ছে, তাই নয়। যৌন হেনস্থার অভিযোগ কারও ক্ষেত্রে প্রমাণিত হলে সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক জরিমানা থেকে চাকরি যাওয়া- সবই হতে পারে।
সোমবার বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা চলে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে। বৈঠকের যে ব্লু প্রিন্ট ‘সংবাদ প্রতিদিন’—এর হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সমস্ত ক্রিকেটার— এই নীতির আওতায় থাকবেন। আওতায় থাকবেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির আধিকারিকরা থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার, ম্যাচ অফিশিয়াল, প্রোডাকশন ক্রু- প্রত্যেকে। থাকবেন বোর্ড অফিসের কর্মরতরাও।
[আরও পড়ুন: সংবাদ প্রতিদিন-এর খবরে সিলমোহর, নভেম্বরে ইডেনে ফিরছে ক্রিকেট, ঘোষিত ২০২১-২২-এর সূচি]
যা দেখা যাচ্ছে, তাতে একটা আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে (ইন্টারনাল কমিটি)। যে কমিটিতে চার জন সদস্য থাকবেন। সেই কমিটির প্রিসাইডিং অফিসার হবেন একজন মহিলা। আইন সম্পর্কে পড়াশোনা আছে কিংবা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত, এমন দু’জনকে বাছা হবে কর্মচারীদের থেকে। চতুর্থ ব্যক্তি হবেন বোর্ডের বাইরের একজন। যাঁর যৌন হেনস্থার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ যৌন হেনস্থার শিকার হলে এই কমিটিকে সেই ঘটনার তিন মাসের মধ্যে লিখিত ভাবে তা জানাতে হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছ’মাস পর্যন্তও সময় দেওয়া যেতে পারে, যদি দেখা যায় ভুক্তভোগীর পক্ষে তিন মাসের মধ্যে কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব ছিল না।
অভিযোগ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কমিটি অভিযুক্তের কাছ থেকে জবাব চাইবে। দশ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে জবাবদিহি করতে হবে কমিটির কাছে। এরপর তদন্ত শুরু করবে কমিটি। অভিযোগ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সেই তদন্ত শেষ করে কমিটি রিপোর্ট জমা করবে বোর্ডের কাছে। বোর্ড তার দু’মাসের মধ্যে নিজেদের রায় জানিয়ে দেবে কমিটিকে। এরপর কমিটি সিদ্ধান্ত জানাবে নিজেদের। তিন মাস পর্যন্ত অভিযুক্ত সময় পাবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আদালত যাওয়ার।