সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশ্য করা। ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে কী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা (Chetan Sharma) কী বলেছেন, সব সোজাসাপটা মিডিয়ায় বলে দেওয়া। সবকিছু নিয়ে ভারতীয় উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার কাছে জবাবদিহি চাইতে পারে বোর্ড। জিজ্ঞাসা করা হতে পারে, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হয়েও তিনি কী করে দল নির্বাচনী ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললেন।
বিসিসিআই সূত্রের খবর, ঋদ্ধি যেভাবে বাদ পড়ার পর প্রকাশ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তাতে বেশ অখুশি বোর্ডের শীর্ষমহল। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের দাবি, কেন প্রকাশ্যে মুখ খুললেন এ নিয়ে ঋদ্ধির কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে বিসিসিআই। নাম জানাতে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ঋদ্ধিমান বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তির ৬.৩ নং অনুচ্ছেদ অমান্য করেছেন বঙ্গ উইকেটরক্ষক। বিসিসিআইয়ের(BCCI) কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধূমল অবশ্য প্রকাশ্যে বলছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ঘোষিত আইপিএলের দিনক্ষণ, মুম্বইয়ে হবে ৫৫টি ম্যাচ]
এদিকে বাংলার হয়ে রনজি না খেলায় সিএবির রোষের মুখেও পড়তে হচ্ছে বঙ্গ উইকেটরক্ষককে। ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) নাকি বাংলার হয়ে খেলতেই চান না! বাংলার হয়ে খেলার কথা বললে তিনি নাকি বলেন, ‘‘আমার গায়ে ব্যথা, পায়ে ব্যথা! ঋদ্ধির আসলে কোনও দায়বদ্ধতাই নেই বাংলা ক্রিকেটের প্রতি! ভারতীয় টিমে নেই যখন, বাংলার হয়ে তো তাঁর খেলা উচিত। সেটা করলেন না কেন?” এই প্রশ্নগুলি বৃহস্পতিবার তুলে দিয়েছিলেন সিএবি (CAB) যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাস।
[আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের অধিনায়ক কে? রোহিতের নজরে এই তিন ভারতীয় ক্রিকেটার]
উত্তেজিত দেবব্রত বললেন, “ঋদ্ধি কেন বাংলার হয়ে রনজি খেলবে না, বলুন তো? ভারতীয় দলে নেই। কিন্তু তাই বলে কেন বাংলার হয়ে খেলবে না? তাহলে ধরেই নিতে হচ্ছে বাংলা ক্রিকেটের প্রতি ওর কোনও দায়বদ্ধতা নেই।” সঙ্গে যোগ করলেন “এর আগেও ঋদ্ধি অনেক ম্যাচে খেলতে চায়নি। ওকে খেলার কথা বললেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঋদ্ধি ম্যাচ খেলেনি। কখনও বলেছে গায়ে ব্যথা। আবার কখনও বলেছে পায়ে ব্যথা।” শেষে সৌরভের সঙ্গে ঋদ্ধিমানের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তালাপ নিয়ে রাগত ভাবে বললেন, ঋদ্ধি যেটা করেছে, সেটা ওর উচিত হয়নি। সৌরভের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সেটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা কেন এভাবে বলবে?”