স্টাফ রিপোর্টার: রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid) ভারতীয় কোচের পদে নতুন চুক্তির জন্য রাজি করানোর পর এবার ‘মিশন রোহিত’-এ নেমে পড়তে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। সংক্ষেপে তা হল–আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করার জন্য রোহিতকে (Rohit Sharma) রাজি করানো। আজ নয়াদিল্লিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল নির্বাচনে বসছে বোর্ড। সেখানে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের জন্য দল বেছে নেওয়া হবে, তেমনই আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করা শুরু হয়ে যাবে।
এখানে বলে রাখা যাক, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল থেকে ভারত বিদায় নেওয়ার পর দেশের হয়ে আর টি-টোয়েন্টি খেলেননি রোহিত শর্মা। সরকারি ঘোষণা না হলেও হার্দিক পাণ্ডিয়াই তার পর থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু এখন যেহেতু হার্দিককে আরও এক মাস পাওয়া যাবে না, তাই প্রশ্ন উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কাকে ভারতীয় টিমের নেতৃত্বে দেখা যাবে? চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যিনি, সেই সূর্যকুমার যাদবকে? নাকি রোহিতকেই রাজি করানো হবে?
[আরও পড়ুন: পর পর চিঠিতেও খুলল না জট, আজ ডার্বিতে গরহাজির থাকতে পারে মোহনবাগান]
ওয়াকিবহাল মহলের খবর ধরলে, রোহিত ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীকে জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি তিনি আর খেলতে চান না। কিন্তু বোর্ড কর্তাদের মনে হচ্ছে, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জুড়ে যে ভাবে দুর্ধর্ষ অধিনায়কত্ব করেছেন রোহিত, তাতে তিনি রাজি থাকলে তাঁর হাতেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে। যার আসর বসবে আগামী বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জুন-জুলাই মাসে। হার্দিক চোট সারিয়ে ফিরে এলে কী হবে, একটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু যদি রোহিতকে রাজি করানো যায়, তা হলে তাঁর হাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নেতৃত্ব ওঠার সম্ভাবনা। বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুলের টি-টোয়েন্টি টিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া পুরোটাই নির্ভর করবে আগামী আইপিএলে তাঁরা কেমন খেলেন। রাহুলের ক্ষেত্রে শর্ত আরও কঠিন–টি-টোয়েন্টি খেললে তাঁকে কিপিংও করতে হবে।