সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরেই ঘরের মাটিতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আর সেই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হল ২০ ক্রিকেটারের নাম। এমনকী সিনিয়র ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলা নিয়েও কিছু বাধানিষেধ জারি করা হচ্ছে।
বছরের প্রথম দিন মুম্বইয়ে পারফরম্যান্স রিভিউ বৈঠকে বসেন বিসিসিআই (BCCI) কর্তারা। ২০২২ সালে দলের পারফরম্যান্সের কাঁটাছেড়া হয় এই বৈঠকে। ডাকা হয়েছিল ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মা, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) চেয়ারম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ, প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মাকে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগ দেন বোর্ড সভাপতি রজার বিনি। সেখানেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য বেছে নেওয়া হয় ২০জনের নাম। সঙ্গে এও পরিষ্কার করে দেওয়া হয় যে, চোট-আঘাত থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনে যেন আসন্ন আইপিএলে অংশ না নেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তাঁদের আইসিসি টুর্নামেন্টের উপরই জোর দিতে বলা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বর্ষবরণের রাতে বিরিয়ানিকে চ্যালেঞ্জ কন্ডোমের! অর্ডারের বহর জানলে চোখ কপালে উঠবে]
বোর্ডের তরফে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে মোট ৩৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজ দিয়ে শুরু সেই সফর। চলতি বছরই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। তার আগে প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি রাখতে চায় না বোর্ড। টেস্ট ও ওয়ানডে-তে আপাতত রোহিত শর্মাকেই অধিনায়ক রাখার সিদ্ধান্তও নাকি নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ক্রিকেটারদের যাতে চোট-আঘাত নিয়ে সমস্য়ায় পড়তে না হয়, তার জন্য আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে এনসিএ।
এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিসিসিআই জানায়, ওয়ানডে বিশ্বকাপের রোডম্যাপ নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ক্রিকেটারদের উপর কতটা চাপ পড়বে, সে বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তাও জানানো হয়েছে। বোর্ডের প্রথম সুপারিশ, জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা জরুরি। দ্বিতীয়ত, ফিরছে ক্রিকেটারদের ইয়ো-ইয়ো টেস্ট। আমদানি হচ্ছে ডেক্সা স্ক্যানও অর্থাৎ হাড়ের পরীক্ষা। তৃতীয়ত, আইপিএলে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের চোট-আঘাত লাগলে দেখভালের দায়িত্বে থাকবে জাতীয় ক্রিকেট সংস্থা।