সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সামনেই বিডিওর বিয়ে। তাই বিডিও অফিসেই হয়েছিল আইবুড়ো ভাতের ব্যবস্থা। আর্শীবাদ করতে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী। চেয়ারে বসেই স্থানীয় নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন বিডিও। বর্ধমানের এই ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়েছে। নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে মাতৃস্থানীয়াকে প্রণাম করাই সহবৎ, বলছেন বিডিও।
বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিও রজনীশ যাদব। হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা। মাস কয়েক আগে বর্ধমানে বদলি হয়েছেন তিনি। আগামী ১১ জুলাই রজনীশের বিয়ে। তাই বুধবার দুপুরে বিডিও কার্যালয়েই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। কাঁসার থালা-বাসনে ছিল ভাত, একাধিক ভাজা, ডাল, শুক্তো, মাছ, মাংস, চাটনি ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো হয়েছিল টেবিল। হাজির ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা তৃণমূল বর্ধমান ১ ব্লক সভাপতি কাকলি তা গুপ্ত, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানস ভট্টাচার্য। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কাকলি তা গুপ্তর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন রজনীশ।
এই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "চমৎকার! পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের ভিতরে বর্ধমান-১-এর বিডিওর আইবুড়োভাতের আয়োজন হয়েছে। আধিকারিককে তৃণমূল নেত্রীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ চাইতে দেখা যাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ঘটনাটি কোনও ব্যতিক্রমী বিষয় নয়, এটিই যেন স্বাভাবিক ও আদর্শ বিষয়।" সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে বিভাজনরেখাটি অস্পষ্ট ছিলই, তা এবার পুরো মুছে ফেলা হয়েছে।"
যদিও বিষয়টির মধ্যে 'অন্যায়' দেখছেন না কাকলিদেবী। এ প্রসঙ্গে রজনীশ যাদব জানিয়েছেন, "আমি বাড়ি থেকে দূরে থাকি। উনি (কাকলি তা গুপ্ত) আমার মাতৃস্থানীয়া। পা ছুঁয়ে প্রণাম করাটাই সহবৎ। তবে অফিসে আয়োজন করাটা ঠিক হয়নি।" পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার জানিয়েছে, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"