সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুকুমার রায়ের হিজবিজবিজকে মনে আছে? সেই যে বিদঘুটে সব জিনিস কল্পনা করত, আর হেসে খুন করত। হেসে হেসে মরে আর কী। তা সুকুমার যে কতখানি দূরদর্শী তা তো আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাস্তবেও এরকম বহু হিজবিজবিজের দেখা মেলে। যাঁরা আজব কল্পনা করতে ভালবাসেন এবং হেসে ওঠেন। কিন্তু তার বিপদও কম নয়। বিশ্বে অন্তত ১০ জন ব্যক্তি এই হাসির চোটেই প্রাণ হারিয়েছেন।
[ জিএসটির জের, নতুন বাজেটে বাড়তে পারে স্মার্টফোনের দাম ]
রামগড়ুরের ছানা হয়ে থাকার প্রশ্নই নেই। তাই সকলেই হাসতে ভালবাসেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, সুস্থ থাকতে প্রাণ খুলে হাসুন। আজকাল তাই লাফিং ক্লাবেরও চল হয়েছে। কিন্তু সত্যি প্রাণখোলা হাসি যখন আসে, তখন তা চেপে রাখা মুশকিল। চেপে রাখার দরকারও নেই। কিন্তু হাসির চোটে মৃত্যুও হতে পারে। বিশ্বে এরকম নমুনা বিরল নয়। নাহ, দোষ অবিশ্যি হাসির নয়। হাসির কারণে শরীরে যে পরিবর্তন হয়, তার জেরেই মৃত্যু হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, বিশ্বে অন্তত দশটি এরকম ঘটনা ঘটেছে। যেখানে হাসির চোটে মৃত্যু হয়েছে। রিপোর্টটিতে একটি নমুনাও তুলে ধরা হয়েছে। দামিওন নামে এক আইস বিক্রেতার কথা বলা হয়েছে। যিনি প্রায় দু মিনিট হাসার পর নিশ্চল হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী পরীক্ষা করে দেখেন, হাসতে হাসতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
[ মধু খাঁটি বুঝবেন কীভাবে? থাকল ৪টি উপায় ]
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনা অবাস্তব কল্পনা নয়। বরং সত্যিই ঘটতে পারে। কেননা হুট করে অতিরিক্ত হাসির কারণে হৃদযন্ত্র বিকল্প হতে পারে। মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাতে পারে। চিকিসার পরিভাষায় CATAPLEXY নামে একটি শব্দ আছে। যেখানে মানুষ পুরোপুরি সজ্ঞানে থাকেন। কিন্তু তিনি তাঁর মাসল ও অন্যাম্য ব্যহারিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। হাসির চোটে এই প্রবণতা বাড়ে। ফলে মানুষ বুঝতে পারেন, ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু তা বন্ধ করতে পারেন না। ফলে মৃত্যুবরণ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। হাসি যতই ভাল হোক, এই নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে গেলে যে কোনও বিপদ ডেকে আনতে পারে।
[ নিয়মিত চা পান করলে বাড়ে বুদ্ধি ও একাগ্রতা ]
সুতরাং হাসুন। প্রাণ খুলেই হাসুন। কিন্তু প্রাণ যেন না যায়, সে খেয়ালও রাখুন।
The post হাসির চোটে মৃত্যু, বিশ্বে ১০ জন মানুষের পরিণতি এমনটাই appeared first on Sangbad Pratidin.