সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে একের পর এক ছক কষে চলেছে চিন! সামরিক খাতে বিপুল অঙ্কের খরচ করছে তারা। যা দিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণের। এবার নয়া স্টেলথ ফাইটার জেট (রাডারে প্রায় অদৃশ্য) উড়িয়েছে বেজিং। মনে করা হচ্ছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুদ্ধবিমান ষষ্ঠ প্রজন্মের। যা সহজেই ধুলো দিতে পারে ‘শত্রুপক্ষে’র চোখে। আগামী দিনে এই অত্যাধুনিক স্টেলথ ফাইটার জেটই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে ভারতের কাছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার ‘ভোরোনেজ’ রাডারই হাতিয়ার হতে পারে দিল্লির।
চলতি বছরের মে মাসে ভারত সীমান্তের কাছে উড়তে দেখা যায় চিনের জে-২০ স্টেলথ ফাইটার জেট। সিকিমের থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরেই উড়ছিল সেটি। পালটা ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান দিয়ে তার মোকাবিলা করে ভারত। সম্প্রতি যে চিনা স্টেলথ যুদ্ধবিমানটিকে দেখা গিয়েছে সেটি এর থেকেও শক্তিশালী। যাকে রাডারে ধরা অসম্ভব। কয়েকটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টের দাবি অনুযায়ী, চিন আড়াইশোর উপর এমন স্টেলথ ফাইটার জেট তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় ভারতের কাছে এখনও কোনও স্টেলথ যুদ্ধবিমান নেই।
উল্লেখ্য, সামরিক ক্ষেত্রে বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারত। ‘ভোরোনেজ’ নামে এক রাডার মস্কোর থেকে কিনবে দিল্লি। যা প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিপক্ষের উপর নজরদারি চালাতে সক্ষম। ‘শত্রু’র প্রতিটা পদক্ষেপ ধরা পড়বে সহজেই। অত্যাধুনিক এই রাডার হাতে এলে নিঃসন্দেহে আরও শক্তি বাড়বে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের। এই ভোরোনেজ। এক সঙ্গে অন্তত ৫০০টি বস্তু চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে অত্যাধুনিক এই রাডারের। শুধু তাই নয়, সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিপক্ষের উপর নজরদারি চালাতে সক্ষম এই রুশ ‘দিব্যচক্ষু’। এর তীক্ষ্ণ নজর থেকে বাদ পড়বে না কোনও ব্যালিস্টিক মিসাইল, ফাইটার জেট, আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (ICBMs)। রাশিয়ার দাবি, ভোরোনেজ সহজেই ধরে ফেলতে পারবে স্টেলথ মিসাইল (রাডারে প্রায় অদৃশ্য)- এর গতিবিধিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই চুক্তির কথা জানতে পেরেই তৎপরতা বাড়িয়েছে চিন। আর রাশিয়ার এই ‘দিব্যচক্ষু’ই ভারতের হাতিয়ার হতে পারে চিনা স্টেলথ ফাইটার জেটের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, পাকিস্তানকে ৪০টি পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট দিতে চলছে ‘বন্ধু’ চিন। বেজিংয়ের উন্নত সামরিক বিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম জে-৩৫এ স্টেলথ ফাইটার জেট। যা পেতে মরিয়া পাকিস্তান। কয়েকদিন আগেই এই যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। চুক্তি সম্পন্ন হলে আগামী দুবছরের মধ্যে ইসলামাবাদের হাতে চলে আসবে ৪০টি জে-৩৫এ ফাইটার জেট। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের কাছে রয়েছে মার্কিন এফ-১৬ ও ফরাসি মিরাজ ফাইটার জেট। কিন্তু ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমানগুলোর মোকাবিলা করার জন্য সেগুলো যথেষ্ট পুরনো। এই চুক্তি চূড়ান্ত হলে, বিশ্বে পাকিস্তানই প্রথম দেশ হবে যাদের কাছে বেজিংয়ের স্টেলথ জে-৩৫এ ফাইটার জেটের স্কোয়াড্রন থাকবে। সূত্রের খবর, পাক সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই এই জেটগুলো কেনার অনুমোদন দিয়েছে।