সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দরী থাইল্যান্ড (Thailand)। ভারত, চিনের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব এখানে দেখা যায়। বছরভর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যান এর চোখ ধাঁধানো পরিবেশ ও লাস্যময়ী সৈকতের টানে। কিন্তু চলতি বছর তার ব্যতিক্রম। মার্চ মাস থেকেই করোনার (CoronaVirus) থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প। সেই কারণেই বোধহয় নিউ নর্মালে অনেকেরই পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ, গোয়ার মতো এলাকা। বলিউডের তারকারাও মালদ্বীপের মোহে আচ্ছন্ন। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে থাইল্যান্ড। গত অক্টোবর মাসে ১০০০ জনেরও বেশি বিদেশি পর্যটক ক্ষণিকের আস্তানা গড়েছেন সেখানে। দীর্ঘ ছ’মাসে যা প্রথম।
থাইল্যান্ডের পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ বিদেশি পর্যটকই বেশি সময়ের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন। মার্চ মাস থেকে করোনার (COVID-19) থাবায় সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোখের নিমেষে পালটে গিয়েছে জীবনযাত্রা। কর্পোরেট জগতের পাশাপাশি শিল্পজগতেরও প্রচুর লোকসান হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পে। করোনার প্রকোপ শুরু হতেই সেদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: তুষার পর্যটনে প্রাধান্য উত্তরবঙ্গ-সিকিমে, অফ সিজনেও পর্যটকদের ঢল নামার আশা ব্যবসায়ীদের]
তবে শোনা গিয়েছে, এখন দেশের পর্যটন শিল্পের হাল ফেরাতে অনেক নিয়ম শিথিল করেছে থাইল্যান্ড সরকার। তাতেই ফের পর্যটকদের মুখ দেখতে শুরু করছে শ্যামদেশ। এর আগে প্রতি অক্টোবরে প্রায় ৩০ লক্ষ বিদেশি পর্যটককে স্বাগত জানাত থাইল্যান্ড। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রায় ৪ কোটি পর্যটকের থেকে ৬০ বিলিয়ান ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা লাভ করেছে থাইল্যান্ড। সেই তুলনায় চলতি বছরের সামান্য আয় কিছুই নয়। তবে নিউ নর্মালে পরিস্থিতি ফেরার আশায় দিন গুনতে শুরু করেছেন থাইল্যান্ড, ব্যাংককের পর্যটন নির্ভর মানুষ। অবশ্য, এখনও সেদেশে কিছু কড়া নিয়ম রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে কাটানো বাধ্যতামূলক বলেই জানা গিয়েছে।