সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬ ফেব্রুয়ারি, সীমান্ত পেরিয়ে পাক ভূখণ্ডে বালাকোটে জইশ জঙ্গি ঘাঁটিতে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা৷ সূত্রের খবর, ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ওই ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গিদমন অভিযানের ঠিক আগের দিনই সেখানে সক্রিয় ছিল প্রায় ৩০০ টি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক৷ দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের এক সপ্তাহ পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল দ্য ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন৷ ওই সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে ঠিক কত জন জঙ্গি খতম হয়েছে, সেই সংখ্যা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা৷ তবে এনটিআরও-র এই তথ্য সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে আরও সাহায্য করবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের৷
[নমনীয় দেবেগৌড়া, কর্ণাটকে চূড়ান্ত হওয়ার পথে বিরোধীদের আসনরফা ]
২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর থেকেই সাংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযাবে খতম হয়েছে অন্তত ৩৫০ জন জঙ্গি৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরের দিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদেশ সচিব জানান, বহু সংখ্যক জঙ্গি খতম হয়েছে৷ এমনকী, সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়াও জানান, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তাঁরা আঘাত করেছেন৷ কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করার বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের উপর৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা ইসলামাবাদ অস্বীকার করলেও, ইতিমধ্যেই ভারতের হামলায় সিলমোহর দিয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই৷
[ফের ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়া পাক ড্রোন ধ্বংস করল সুখোই]
জানা গিয়েছে, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে হামলার পর থেকেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের উপর চরম আঘাত হানতে চাইছিল ভারত৷ সেজন্য সঠিক টার্গেটের খোঁজ করছিল নয়াদিল্লি৷ সূত্রের খবর, বালাকোটের স্থানীয় সূত্র মারফৎ ওই অঞ্চলে জইশ জঙ্গি ঘাঁটির খোঁজ পায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ এবং গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রায় ৩০০টি সক্রিয় মোবাইল ফোনের উপস্থিতির কথা জানতে পারে দি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও৷ সেই তথ্য তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রকে৷ এরপরই বায়ুসেনাকে অভিযানের ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র৷ এবং ভোররাতে নির্দিষ্ট স্থানে হামলা চালিয়ে সাফল্য পায় বায়ুসেনা৷
The post হামলার আগে বালাকোটে সক্রিয় ছিল ৩০০টি মোবাইল appeared first on Sangbad Pratidin.