সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাপানে সদ্যসমাপ্ত কোয়াড বৈঠকে চিন বিরোধী সুর বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার পাশাপাশি জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াও যে প্রবল ‘ড্রাগন’ ভীতিতে ভুগছে তা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে ‘মার্কিন ব্লক’কে বার্তা দিয়ে শনিবার থেকেই দক্ষিণ চিন সাগরে নৌমহড়া চালাবে চিন।
[আরও পড়ুন: জ্বালানি মূল্যে রেকর্ড বৃদ্ধি পাকিস্তানে, শাহবাজকে তোপ দেগে ফের মোদির প্রশংসায় ইমরান]
এএফপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ চিনের হাইনান প্রদেশের সমুদ্রতট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মহড়া চালাবে লালফৌজের নৌবাহিনী। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি জারি করে চিনের (China) নৌসুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার থেকে শুরু হবে নৌমহড়া। তাই পাঁচঘণ্টার জন্য ১০০ বর্গ কিলোমিটার জলরাশিতে নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) চিনের সামরিক কার্যকলাপে ঘোর আপত্তি জানিয়ে আসছে আমেরিকা। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তাইওয়ান নিয়ে চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “তাইওয়ানের কাছে প্রায় রোজই চিনা ফৌজের যুদ্ধবিমান উড়ছে। পিপলস লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত আগ্রাসী হয়ে উসকানিমূলক পদক্ষেপ করছে।”
উল্লেখ্য, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর নিজের বলে দাবি করে চিন। এনিয়ে আমেরিকা, ভারত ছাড়াও চিনের লড়াই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, জাপান এবং সুদূর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। তাদের ভূখণ্ড থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপেও মাছ ধরার অধিকার চাইছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিক দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। পালটা বেজিংকে শায়েস্তা করতে সেখানে নিয়মিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ২৪ তারিখ জাপানে বৈঠকে বসে কোয়াড গোষ্ঠী। ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কোয়াড জোট। মূলত, চিনকে নজরে রেখেই এই জোট তৈরি হয়েছে। বৈঠকে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বাধীনতা বজায় রাখাই কোয়াডের উদ্দেশ্য। তারপরই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক মহড়া ঘোষণা করে ভারতকেও যেন সতর্ক করল বেজিং।