সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক আলোচনার খবর পেয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছে বেজিং। এরপরই ভারতকে ‘এক চিন নীতি (One China principle)’র প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বার্তা দিয়ে তাইপে-এর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন না করার বার্তা দিল শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করে পদক্ষেপ নিতে বলল।
সম্প্রতি একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ভারত তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করতে পারে বলে খবর প্রকাশ হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন না করেই ভারতকে হুঁশিয়ারি দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান (Zhao Lijian) । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘পুরো বিশ্বে একটাই চিন এবং তাইওয়ান আগাগোড়াই তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারত-সহ গোটা বিশ্বই তা জানে। তাই অন্য দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের আলাদা করে তৈরি হওয়া কোনও সম্পর্ককে আমরা স্বীকৃতি দিই না। উলটে কোনও দেশ যদি তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক বা অন্য সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তি সই করে তার তীব্র বিরোধিতা করি আমরা। ভারতের উচিত এই বিষয়টি মাথায় রেখে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া। এক চিন নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিচক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া।’
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ, FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে সম্ভবত এখনই মুক্তি নয় পাকিস্তানের]
মালাবার উপকূলে আগামী মাসে হতে চলা কোয়াডের নৌ মহড়া নিয়েও ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘বিষয়টি উপর আমরা নজর রাখছি। আমরা সবসময় মনে করি বিভিন্ন দেশের মধ্যে সামরিক মহড়া হওয়া উচিত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য। আশাকরি সেটা বজায় থাকবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও গভীর হলে টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীতে বেশি লাভবান হবে ভারত। তবে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের বিষয়ে কবে আলোচনা করা হবে, তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তাই এই সম্পর্কে এখনই কোনও অনুমান করা ঠিক হবে না।