সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিনকে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আপাতত রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশেই আশ্রয় নিয়েছেন বিদ্রোহী ‘পুতিনের রাঁধুনি’। এদিকে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য রুশ সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন।
বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে গত শনিবার আচমকাই মস্কোর দিকে রওনা দেয় ওয়াগনার যোদ্ধারা। বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, “আমাদের পথে যে আসবে ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে, পুতিনের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টা পরেই রণে ভঙ্গ দেন তিনি। সোমবার এক অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, “রুশ ভাই-বোনেদের রক্ত ঝরার আশঙ্কা এড়াতেই আমরা মস্কোর রাজপথে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলাম।”
[আরও পড়ুন: হিংসা থামার লক্ষণ নেই, অগ্নিগর্ভ মণিপুরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী]
পুতিন ক্ষমতায় আসার পরে ক্রেমলিনের উপরে এত বড় বিপদ আসেনি। তবে পুতিনের সমর্থকদের দাবি, এই বিদ্রোহে শেষ পর্যন্ত পুতিনের শাসনকালে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। যদিও যেভাবে ওয়াগনার বাহিনী এগোচ্ছিল এবং গুলি করে রুশ (Russia) যুদ্ধবিমানকে নামিয়েছিল, তা কিন্তু আশঙ্কার দিকটিকেই তুলে ধরছে। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র এই সংক্রান্ত আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ”আমরা এর সঙ্গে একমত নই।” আর পুতিন (Vladimir Putin) নিজে চেষ্টা করছেন, এই বিদ্রোহের দমনকে তাঁর নিয়মিত সেনার বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখাতে। তাঁর দাবি, রুশ সেনা ও রুশ জনতার কেউই তাঁদের সঙ্গে নেই এটা বুঝেই রণে ভঙ্গ দিয়েছেন প্রিগোজিন।
উল্লেখ্য, ওয়াগনার বিদ্রোহে পুতিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। প্রিগোজিন কী করবেন সেদিকে চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। তবে যেহেতু প্রিগোজিন বেলারুশে ঢুকে পড়েছেন তাতে নতুন করে তাঁর বাহিনী এখনই ফের আক্রমণের পথে হাঁটবে এই সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।