সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “পরিবারতন্ত্রে নয়, গণতন্ত্রে আস্থা রাখুন। কারণ, পরিবারতন্ত্র দেশের উন্নতিতে নয়, ‘সংস্থা’ গড়তে সাহায্য করে। সংবাদমাধ্যম থেকে লোকসভা। সংবিধান থেকে আদালত। কিছুই বাদ যায়নি।” বুধবার সকাল সকাল টুইটারে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসকে এই ভাবেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[কাশ্মীরে পাকা ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট, আসনজট কাটল বিহারেও]
২০১৪ সালের লোকসভায় জিতে একটি ব্লগ লিখেছিলেন মোদি। বুধবার ফের সেসব মনে করিয়ে দিলেন তিনি। এদিন সকালে ব্লগের লিংকই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, দেশের প্রকৃত উন্নতি চাইলে কেউ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার বদলে নিজেদের আয়ের জায়গা হিসেবে বেছে নিতেন না। কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ মত দিতে পারেন না। এটা দেখলেই বোঝা যায়, তাঁরা গণতন্ত্রে কতটা বিশ্বাসী। মোদি আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, “১৯৪৭ সালের পর থেকে প্রতিরক্ষা বিভাগে ক’টা দুর্নীতি হয়েছে, মনে করুন। সেই কারণেই প্রতিরক্ষা বিভাগ কংগ্রেসকে সম্মান করে না।” এই প্রসঙ্গে অগস্টা চপার কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। উত্তরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও চুপ করে ছিলেন না।
[নির্বাচনের ডিউটিতে বাধা, স্ত্রীকে খুন জওয়ান স্বামীর]
বারাণসী থেকে মোদিকে লক্ষ্য করে প্রিয়াঙ্কা বললেন, “৭০ বছর ধরে এ দেশে কিছুই হয়নি বলে যে প্রচার বিজেপি করছে, তাঁর মেয়াদ পেরিয়েছে। এই পাঁচ বছরে কৃষক হোক কিংবা যুব সমাজ, মোদি সরকারকে নিয়ে খুশি নন কেউ। মানুষ বোকা নন। এ বার তাই সবাই মিলে সরকার পালটাবে।” প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, ক্ষমতায় থাকতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরাই এই ধরনের কথা বলেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই ধরনের মানুষের হাতে ক্ষমতা এলে মূলত দু’টি জিনিস হয়। এক, তাঁরা মনে করেন, সহজেই মানুষকে বোকা বানানো যায়। দুই, বিপক্ষের মানুষদের ভিতু ভাবেন। কিন্তু আমরা ভিতু নই।” ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে মেগা প্রচার অভিযান শুরু করছে বিজেপি। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও রাজ্যে রাজ্যে দলের তরফে এই প্রচার হবে।
The post পরিবারতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রে আস্থা রাখুন: নরেন্দ্র মোদি appeared first on Sangbad Pratidin.