সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে থাকবে না কোনও বেকার! যাঁদের চাকরি নেই, তাঁদের বলা হবে 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক/যুবতী'। অদ্ভূত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। প্রত্যেক বছর শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে সেরাজ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে বেকারদের নামটাই পালটে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে চাকরির সংকট আড়াল করতেই কি এমন পদক্ষেপ করল সরকার?

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫.৮২ লক্ষ। ডিসেম্বরের মধ্যে সেই সংখ্যাটা পৌঁছে যায় ২৬.১৭ লক্ষে। আপাতত সেরাজ্যে বেকারের সংখ্যা ২৯.৩৬ লক্ষ। গত পাঁচ বছরে দুহাজারেরও বেশি চাকরির মেলা আয়োজন করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। সেখান থেকে সরকারি চাকরি পেয়েছেন মাত্র ৩.২২ লক্ষ। তবে তার মধ্যে কতজন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, সেই তথ্য অজানা। যদিও মধ্যপ্রদেশ সরকারের মতে, চাকরির সংকট যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তব পরিস্থিতি মোটেও অতখানি ভয়াবহ নয়।
তার মধ্যেই মধ্যপ্রদেশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী গৌতম তেতওয়াল বলেন, "এমপ্লয়মেন্ট অফিসের নথিতে যা লেখা আছে, বেকারের সংখ্যা বাস্তবে তা নয়। কোনও ব্যক্তি যদি বাবার দোকান কাজ করে অথচ তার নাম এমপ্লয়মেন্ট অফিসে রয়েছে, তাকে কিন্তু বেকার বলা যায় না। স্থায়ী চাকরি ছাড়া প্রতি মাসে ১২ হাজার ৬৪৬ টাকার কম আয় যাদের, তাদের বেকার বলা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে বিষয়টি সেরকম নয়।" সেকারণেই গৌতম বলেন, বেকার শব্দটি ব্যবহার করার বদলে 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক/যুবতী' বলতে হবে।
প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে চাকরির সংকট আড়াল করতেই কি এমন পদক্ষেপ করল সরকার? কংগ্রেস বিধায়ক প্রতাপ গ্রেওয়াল বলেন, "জুলাই মাসেই সরকার বলেছে যে বেকারের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ। কিন্তু এখন আর পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে চাইছে না সরকার। তার বদলে এখন নাম পরিবর্তন করতে চাইছে।" কেবল কংগ্রেস বিধায়ক নন, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিরক্ত আমজনতা। চাকরির আশায় দিন গুনছেন তাঁরা।