shono
Advertisement

ঘাতক প্লাস্টিক দূষণ, প্রাণ গেল সামুদ্রিক প্রাণী ডুগং মরিয়মের

ছোট্ট ডুগংয়ের মৃত্যু ভাবাচ্ছে থাইল্যান্ডের যুবরানিকেও। The post ঘাতক প্লাস্টিক দূষণ, প্রাণ গেল সামুদ্রিক প্রাণী ডুগং মরিয়মের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:16 PM Aug 18, 2019Updated: 12:17 PM Aug 18, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে অনেকেই কমবেশি চিন্তিত। ‘প্লাস্টিক বর্জন করুন’ এই স্লোগানও সবার পরিচিত। কিন্তু প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত পর্যন্ত জীবনের বিরাট পর্বে জুড়ে থাকা প্লাস্টিক কেন বা কীভাবে বর্জন করব সেই প্রশ্নগুলোই ফের একবার উসকে দিল থাইল্যান্ডের ছোট্ট ‘ডুগং’ মরিয়ম। শনিবার থাইল্যান্ড সরকার সূত্রে খবর, সমুদ্র সৈকতের ঘাস বা সামুদ্রিক অন্য প্রাণী খেয়েই মরিয়মের মৃত্যু হয়েছে। প্লাস্টিক যে কতটা ভয়ংকর সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে মরিয়ম।

Advertisement

[আরও পড়ুন:  বৌদ্ধদের অনুষ্ঠানে দীর্ঘ পদযাত্রার পর মৃত্যু বৃদ্ধ হাতির, শ্রীলঙ্কার ঘটনায় শোরগোল]

থাইল্যান্ডের মরিয়মের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এমনকী, মরিয়মের মৃত্যু ভাবাচ্ছে দেশের যুবরানিকেও। চাইয়াপুর্ক ওয়েরায়ং হাসপাতালের চিকিৎসক জানাচ্ছেন, রক্তে সংক্রমণ নিয়ে মরিয়মকে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, মরিয়মের পেটে রয়েছে প্লাস্টিকের কণা। এমনকী, অটোপসি রিপোর্টে আবার সামুদ্রিক প্রাণীর অংশও মিলেছে। সাধারণত ডুগং হল সমুদ্র সৈকতের প্রাণী। দেখতে অনেকটা শিলের মতো। এরা সাধারণত গাছপাতা খেয়েই জীবন কাটায়। এধরনের ডুগং কীভাবে সামুদ্রিক প্রাণী খেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করার পরই খবর প্রকাশ্যে আসে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্লাস্টিক বড় বিষম বস্তু। যে কোনও রকম সংক্রমণে চিকিৎসা সাড়া দেয়। কিন্তু প্লাস্টিকের কণা বড় ভয়ংকর। পরিবেশবিদরা মনে করছেন, মরিয়মের মৃত্যু শিক্ষা দিয়ে গেল। তাঁদের কথায়, “বাড়তে থাকা প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ না করলে হাজারটা মরিয়মের বলি দিতে হবে সমাজকে। অবলা বলে ছোট করে দেখবেন না ঘটনাটাকে।”

প্লাস্টিক ব্যবহারের বহু সুবিধা থাকলেও সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল, এটা ‘বায়োডিগ্রেডেবল’ নয় অর্থাৎ সহজে প্রকৃতিতে মিশে যায় না। পৃথিবীতে প্রথম তৈরি প্লাস্টিকটি আজও ধ্বংস হয়নি। সাধারণের জীবনে অতিরিক্ত প্লাস্টিক নির্ভরতার কারণে এই ধরনের ঘটনার খবর সামনে আসছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার না কমালে, এই ঘটনা বাড়বে। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র ভারত থেকে সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত প্লাস্টিকের পরিমাণ পৃথিবীর প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সমীক্ষা অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে সমুদ্রে মাছের থেকে প্লাস্টিক বেশি হবে। আর এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের বিষময় ফল আমাদেরই ভুগতে হবে। আসলে প্লাস্টিক হল বেশ কিছু যৌগের পলিমার রূপ। এই যৌগগুলি মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি বিষক্রিয়া তৈরি করে। পশুপাখি বা মাছ বহু সময়েই খাবার ভেবে বা খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে। তার ফলে তাদের মৃত্যুর কথা প্রায়ই খবরে উঠে আসছে। আবার তাদের থেকেও খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ।

[আরও পড়ুন:  হিমালয়ের শীর্ষে নতুন লেক! সর্বোচ্চ হ্রদের তকমা পাওয়ার যুদ্ধে নেপালের কাজিন সারা]

সাধারণ নর্দমা বা অন্য জমা জলে আটকে থাকা প্লাস্টিকে বিভিন্ন রোগজীবাণু বহনকারী কীটপতঙ্গ, মশা-মাছির জন্ম ও বংশবিস্তার হয়। তা থেকে ডায়েরিয়া, ডিসেন্ট্রি, টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি ইত্যাদি রোগের সংক্রমণ হয়। বহু জায়গায় এই বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে পুড়িয়ে ফেলার অভ্যাসও আছে যা একই সঙ্গে বিপজ্জনক। কারণ তা মারাত্মক বায়ুদূষণ করে। আর এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এমনকী, ক্যানসার অবধি হতে পারে।

The post ঘাতক প্লাস্টিক দূষণ, প্রাণ গেল সামুদ্রিক প্রাণী ডুগং মরিয়মের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement